টেকনাফ নিউজ ডেস্ক : রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বরের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উড়ানো হচ্ছে না।
একইসাথে রামুর ঐতিহ্যবাহী জাহাজভাসা উৎসবও পালিত হবে না বলে জানিয়েছেন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা।
রামু উপজেলা বৌদ্ধ যুব পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, ২৯ অক্টোবর হচ্ছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। এ উপলক্ষে ফানুস ও জাহাজ ভাসানো ছাড়াও নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে এবার প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উড়ানোর পরিবর্তে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- প্রবারণা পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যায় বিশ্বশান্তি কামনায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের হাজার প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন, লাল চিং ও সাদা চিং বিহারে প্রতিকী ফানুস প্রদর্শন ও বাঁকখালী নদীতে প্রতীকী জাহাজ স্থাপন।
এছাড়া বিকেলে প্রতিবাদ শোভাযাত্রা, সন্ধ্যায় ৭টায় প্রথম মিছিলের স্থান চৌমুহনীতে প্রতিবাদী প্রদ্বীপ জ্বালানো হবে।
এদিকে উখিয়ায়ও ফানুস না উড়িয়ে সংক্ষিপ্ত আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় উখিয়ার প্রতিটি বিহারে হাজার প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন এবং বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
Leave a Reply