রাজধানীর শাহবাগ পল্টন ও রমনা এলাকায় মঙ্গলবার সকালে ডেসটিনি গ্র�পের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে পথচারীসহ বেশ কয়েকজন ডেসটিনির কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নগরী বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ৮৬ জনকে আটক করেছে। এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডেসটিনি ডিস্টিবিউটর ফোরামের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহবায়ক একেএম সফিউল্লাহ বলেন, তারা রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার সময় পুলিশ তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। মানবন্ধনে বাঁধা দেওয়ার পর তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এক স্বারক লিপি দিয়েছেন। সংবাদ সমেলনে ডেসটিনি�র সকল ব্যাংক একাউন্ট খুলে ও দেওয়া উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তা না হলে আগামিতে তারা জেলায় জেলায় মানবন্ধন ও আমরণ আনশন করার ঘোষণা দেন। সুত্র জানায়, ডেসটিনি�র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ, লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ এবং কর্মকর্তাদের নামে মামলার প্রতিবাদে ডেস্টিনির কর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করার জন্য মোবাইল ফোনে এসএমএস এর মাধ্য রাজধানী ঢাকায় প্রায় ১০ লাখ জমায়েত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার ভোর থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় নাশকতা মূলক কোন কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেনি। ডেসটিনি�র ডিস্টিবিউটর, ডায়মণ্ড ও পিএসডিসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মী মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রমনা পার্ক ও জাতীয় প্রেসক্লাব, কাকরাইলে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। একপযায়ে ডেসটিনি কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় শাহবাগ ও পল্টন থানা পুলিশ প্রায় অর্ধশত ডেসটিনি�র কর্মী আটক করে। অপর এক সুত্র জানায়, সোমবার রাতেই রাজধানী ও এর বাইরের অঞ্চল থেকে ডেসটিনির কর্মীরা ঢাকায় জড়ো হতে শুরু করে। মঙ্গলবার ভোরে কাকরাইল মোড়, প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, মৌচাক, ফকিরেরপুল, তোপখানা রোড ও গুলিস্তান এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এরা ডেসটিনি ডিস্ট্রিবিউটর ফোরামের আহ্বানে ঢাকায় আসেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে সারাদেশে মানববন্ধন ও জেলা কমিশনারকে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি বিশেষ গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ডেসটিনি�র পরিচালক পর্যায় থেকে এক্সিকিউটিভ এবং মাঠ পর্যায়ের ডিস্ট্রিবিউটরদেও মোবাইলে �গো ঢাকা, ৯ অক্টোবর� লেখা একটি জরুরি এসএমএস পাঠনো হয়েছে। এক্সিকিউটিভ এবং মাঠ পর্যায়ের ডিস্ট্রিবিউটর হাসান, জহুরুল ইসলাম এবং মাহমুদ হাসান এসএমএস পাওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে পল্টন থানা যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার জানা আটককৃত সকলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর শাহাবাগ থানার ডিউটি অফিসার ৮৬ জন থানায় আটক রাখার কথা স্বীকার করেন। প্রসঙ্গত, অবৈধ ব্যাংকিং চালানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত এপ্রিলে ডেসটিনি গ্র�পের কার্যক্রম খতিয়ে দেখার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি। এরপর ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ও তার স্ত্রীসহ গ্র�পের শীর্ষ পাঁচ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
Leave a Reply