মোঃ শহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি/
রাঙামাটি শহরে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অক্ষয় রুদ্রকে আটক করেছে কোতুয়ালী থানা পুলিশ। সোমবার রাত দেড়টার সময় তার বাসা থেকে আটক করা হয়। এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অক্ষয়কে দল থেকে বহিষ্কারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রেখে দলীয় ফোরামে বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
থানা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিনের বাসভবনে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইদুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান (বাবলু রানা) ও অর্থ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেনকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অক্ষয় ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রানা মারধর করে। এসময় তাদের বাঁচাতে এসে বাসার কেয়ারটেকারও মাথায় আঘাত পান।
রাঙামাটি কোতুয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জিল্লুর রহমান জানান, বিলাইছড়ি উপজেলা যুবলীগের অর্থ-সম্পাদক মনির হোসেনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অক্ষয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ এমরান রোকন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্ববান নেতাকে এভাবে মারধর করা কোনোভাবেই দলের জন্য ভালো কিছু নয়। তিনি জানান, অপহরণ, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে লাঞ্ছনা ও হামলার অভিযোগে অক্ষয়কে বহিষ্কারের লক্ষ্যে দলীয় ফোরামের বৈঠক ডাকা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি। হামলার সময় অক্ষয়ের সাথে সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রানাও ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অক্ষয়কে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রোববার রাতে অক্ষয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে আমি শুনেছি। নিজে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আরেকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে সে মারধর করতে পারে না। অক্ষয়কে সংগঠন থেকে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ, জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ সকলে সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Leave a Reply