মুসলিম উত্তরাধিকার আইনানুযায়ী সম্পত্তি বন্টনের কিছু নীতিমালা আছে। এসব নীতিমালা অনুসরণ করেই মুসলিম-সম্পত্তি বন্টিত হয়ে থাকে। তবে এসব নীতিমালাগুলো যে সব ক্ষেত্রেই বিরাজ করবে এমন নয়।
উত্তরাধিকারীরা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে সম্পত্তি প্রাপ্ত হওয়ার আগে এ নীতিগুলো অনুসরন করা হয়।
মুসলিম আইনানুযায়ী উত্তরাধিকারীদের সাধারণত তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: কোরানিক অংশীদার, অবশিষ্টভোগী ও দূরবর্তী আত্মীয়গণ।
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টনের পূর্বে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়:
– মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের খরচ পরিশোধ করা
– মৃত ব্যক্তির কোনো ঋ বা দেনা থাকলে তা পরিশোধ করা
– স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ করা
– মৃত ব্যক্তির কোনো ওসিয়ত বা উইল করা থাকলে সে উইলে উল্লিখিত সম্পত্তি প্রদান করা।
উপরোক্ত কাজগুলো করার পর যে সম্পত্তি থাকবে তা ওয়ারিশদের মধ্যে ভাগ হয়ে থাকে।
এছাড়াও সম্পত্তি বন্টনের সময় কিছু সাধারণ নীতি অনুসরণ করা হয়। এ নীতিমালাগুলোর ভিত্তিতে মুসলমানদের সম্পত্তি বন্টিত হয়ে থাকে-
– দুই বা ততোধিক কন্যা থাকলে প্রত্যেক কন্যা সমান অংশ পাবে।
– দুই বা ততোধিক স্ত্রী থাকলে প্রত্যেক স্ত্রী তাদের নির্ধারিত অংশ সমান হারে ভাগ করে নেবে।
– দুই বা ততোধিক পুত্র থাকলে প্রত্যেক পুত্র সমান অংশ পাবে।
– মৃত ব্যক্তির পিতা বা পুত্র থাকলে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি প্রাথমিক উত্তরাধিকারীদের বাইরে যায়না।
– অধিকতর নিকটবর্তী আত্মীয় দূরবর্তী আত্মীয়কে বঞ্চিত করে। যেমন, মৃত ব্যক্তির বাবা বেঁচে থাকলে দাদা সম্পত্তি পায়না। আবার পুত্র-কন্যা বেঁচে থাকলে নাতি-নাতনিরা সম্পত্তি পায়না।
উপরোক্ত নিয়ম-নীতিগুলো অনুসরণ করলে সম্পত্তি বন্টন অনেকটাই সহজতর হয়ে যায়। সম্পত্তি বন্টনের সময় মৃত ব্যক্তির কোন কোন আত্মীয় বা উত্তরাধিকারী বেঁচে আছে ও সমগ্র প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উত্তরাধিকার নির্ধারণ ও সম্পত্তি বন্টিত হয়ে থাকে।
Leave a Reply