এটিএন ফায়সাল, টেকনাফ (উত্তর)…...সম্প্রতি বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারে মুসলিম-রাখাইনদের জাতিগত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ক্রমশ শান্তির দিকে এগুচেছ বলে খবর পাওয়া যাচেছ। সীমান্ত বাণিজ্যের গবাদিপশু ও মালামাল বোঝাই ২টি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে। তাতে করে দু’দেশের সীমান্ত বাণিজ্য আবারো স্বাভাবিক হবে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা । সম্প্রতি দাঙ্গায় সহিংস ঘটনায় হামলার শিকার হয়ে মিয়ানমারের হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় টেকনাফ-উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে অবস্থান করছিল। তারা সে দেশের দাঙ্গা পরিস্থিতি শান্তির দিকে যাচেছ খবরে স্বদেশে ফিরে গেছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরে রাখাইন পল্লী ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ রাখাইন-মুসলিমদের সাথে কথা বলে মিয়ানমারের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে বলে অবগত হওয়া গেছে। তবে টেকনাফ সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি ও কোস্টগার্ড দাবী করেছে জেলা শহর মংন্ডু থেকে আরকান অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব প্রদেশে পুরোপুরি শান্তি বিরাজমান । এবং বিভাগীয় আকিয়াব ও রাজধানী সিটুয়েতে পরিস্থিতি এখনো পুরোটাই স্বাভাবিক হয়নি। সেখানে দিন-রাত কারফিউ জারী রয়েছে। এখনো চোরাগুপ্তা হামলা ও পাল্টা হামলা চলছে বলে ধারনা করা হচেছ। আকিয়াব ও পাশ্ববর্তী এলাকায় এখনো প্রায় লক্ষাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু খাদ্য সংকট এবং মাথা গোজাঁর ঠাই খুজঁতে মানবেতর দিন-যাপন করছে বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে গত শনিবার থেকে মিয়ানমারের মংন্ডু এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে বাংলাদেশ সীমান্তের অধিকাংশ জেলেদের নাফনদী ও সাগরে নৌকা-বোটযোগে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। অপরদিকে গত ৭জুন বৃহস্পতিবার রাখাইনদের গুলিতে আহত মংন্ডু এলাকার আবু বক্করের ছেলে হাফেজ খানার ছাত্র মামুনুর রশিদ(১৮) দীর্ঘ ১ সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনিত হওয়ায় চমেকে প্রেরণ করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সীমান্ত পরিস্থিতি বিষয়ে টেকনাফ ৪২বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদ হাসান জানান-মিয়ানমারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচেছ। গত ১৭জুন সকালে সীমান্ত বাণিজ্যের গবাদি পশু ও মালামাল বোঝাই ২টি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দর এসে পৌঁছছে। ট্রলারের সংশ্লিষ্ট লোকজনের সাথে কথা বলে ও বিভিন্নভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানাগেছে বর্তমানে পুরো মিয়ানমারের পরিস্থি স্বাভাবিক হচেছ। তা নাহলে বাণিজ্যের মালামাল বোঝাই ট্রলার আসার প্রশ্নই আসেনা। আশাকরি দু’য়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। আমরা সীমান্তে অতিরিক্ত টহল জোরদার করে পরিস্থিতি অবলোকন করছি। তা ছাড়া ১৭জুন ভোরে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত দিয়ে ৭জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করার সময় আটক করে বিকালে তাদের স্বদেশে পুশব্যাক করা হয়। টেকনাফ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার লেঃ জসিমুজ্জামান ও সীমান্তের ব্যাপারে একই বক্তব্য প্রদান করে বলেন অনুপ্রবেশের বিষয়টি আমরা সবচে বেশী গুরুত্বের সাথে দেখছি। তার জন্য জলে-স্থলে পর্যাপ্ত বিজিবি-কোস্টগার্ড টহল জোরদার রয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ স্থল বন্দরের কাস্টমস সুপার আবদুল কাদের ছিদ্দিকী জানান- স্থল বন্দরের আওতায় সকালে শাহরীরদ্বীপ করিডোরে ৯টি ছাগল, ২টি গরু ও ১টি মহিষ বোঝাই ট্রলার ভিড়েছে। এছাড়া বিকাল ৫টার দিকে মাছ বোঝাই একটি বোট বন্দরে এসেছে বলে শুনেছি। ###
Leave a Reply