চকরিয়ায় বয়োবৃদ্ধ বোনের একমাত্র পালক ছেলেকে খুন করেছে মামা। বোনের মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে রেখে যাওয়া সহায় সম্পদকে নিষ্কণ্ঠক করতে এ হত্যাকান্ড বলে ধারনা করছে প্রতিবেশীরা। ২ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ৯টায় চকরিয়া উপজেলার মাইঝ কাকারা গ্রামে নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘঠনা ঘঠে ।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদরের মৃত মোহামম্দ হোসন মুন্সির স্ত্রী সত্তরোর্ধ ছৈয়দা বেগম ৫/৬বৎসর আগে পালক ছেলে নুরুল আবচার রুবেল কে নিয়ে পৈত্রিক বাড়ী চকরিয়া উপজেলার মাইঝ কাকারায় চলে আসে । পালক ছেলে ছাড়া আর কোন পুত্র না থাকায় এ ছাড়া ও পালক পুত্র মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে কক্সবাজারের জমি বিক্রি বাবৎ পাওয়া ৭লক্ষ টাকা বয়োবৃদ্ধ বোনের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখে। ইতিমধ্যে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে বোন মৃত্যু পথযাত্রী হলে বোনের জমি-জমা ও ব্যাংকে জমাকৃত টাকা নিষ্কণ্টক করতে মরিয়া হয়ে উঠে জাফর আহমদ বলী ও তার পরিবার। বিভিন্ন অজুহাতে বোনকে প্ররোচনা দিয়ে ২৫বছর ধরে পালিত পুত্রকে তাড়ানোর ফন্দি করে। তাই বিভিন্ন ছুতা ধরে পালক ভাগিনাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। তারই ধারা বাহিকতায় আজ রবিবার সকালে লোহার রড ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গলায় শাড়ী পেচিয়ে তাকে খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে রুমের সিলিং ফ্যনের সাথে মৃত্য দেহটি টাঙ্গীয়ে ফাসির নাটক সাজায়। সকাল সাড়ে ১০টায় আশে পাশের লোকজন ডেকে ফাসির কথা প্রচার করে মাটিতে শুইয়ে রাখে। এলাকার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী মারধর করে তাকে মেরে ফেলেছে জানিয়ে মৃতর,মাথায়,হাতে,পায়ে ও বুকে অন্তত ৩০টি স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন দেখায়।
পরে ওই খুনি জাফর আহমদ বলী নিজেই জনৈক আওয়ামীলীগ নেতার সহযোগীতায় পুলিশ ডেকে একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করার পায়তারা চালায়। কিন্তু আগন্তুক পুলিশের এস আই রুহুল আমিন মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত্ক্ত জখম দেখে ভড়কে যায়। তিনি সবকিছু দেখে ময়না তদন্ত করে লাশ দাফনের কথা বলে লাশটি থানায় নিয়ে এসে মর্গ্যে প্রেরন করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, খুনি নিজেই এখন লাশ নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে। এবং মোটা টাকার বিনিময়ে নিজেই বাদী সেজে খুনের ঘঠনা ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায় বোনের মৃত্যু পরবর্তী রেকে যাওয়া টাকা ও সম্পদ নিষ্কন্টক করতেই বোনের একমাত্র পালক ছেলে নুরুল আবচার রুবেল (২৬) মামা ও মামাতো ভাইয়েরা হত্যা করেছে।
Leave a Reply