বৃহস্পতিবার ০৯ আগস্ট, ২০১৮ ৯:০২ অপরাহ্ন
1330 বার এই নিউজটি পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের শাহপরীর দ্বীপ। এই দ্বীপের পূর্ব-উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আরমান (৩২), একসময় ছিলেন ছাত্র। পরে টাকার লোভে সে জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা ও সোনা চোরাচালানের সঙ্গে। এরপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা ও সোনা আনতে শুরু করেন আরমান। অল্প সময়ের মধ্যে সে হয়ে ওঠে কোটিপতি। সেই থেকে আরমান টেকনাফে ইয়াবা ও সোনা পাচারের ‘রাজা’ হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার (৬ আগস্ট) ভোরে এক লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আরমান।
স্থানীয়রা ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ইয়াবা ও সোনা চোরাচালানের অন্যতম রুট হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। এরমধ্যে টেকনাফকে ‘ইয়াবার স্বর্গ’ বলা হয়। সেখান থেকে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে ইয়াবা। ফলে ইয়াবা নির্মূল করতে টেকনাফ সীমান্তে বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা বন্ধ হয়নি।
সীমান্তের লোকজন জানায়, ৪৬ লাখ টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানির একমাত্র করিডোর শাহপরীর দ্বীপের ইজারা নেন এই আরমান। সেই সুবাধে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান ট্রলারে করে বঙ্গোপসাগর হয়ে শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছে আরমানের কাছে। সেখান থেকে আরমানের লোকজন রাতে এসব ইয়াবা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘আরমান দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত। ইয়াবা ও সোনা চোরাচালানের সরকারি তালিকায় তার নাম রয়েছে। এতদিন সে কৌশলে প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তার কাছ থেকে এক লাখ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’
সুত্র-বাংলা ট্রিবিউন