মোহাম্মদ সিরাজুল হক সিরাজ…
মহেশখালী হোয়ানকের চেয়ারম্যান এনামুল করিমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা হত্যা করতে চেয়েছিল। এই বিষয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছে। মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান এনামুল করিম এনাম বিগত ০৪/১১/২০১২ ইং তারিখে মহেশখালী উপজেলা কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভা থাকায় উক্ত সমন্বয় সভায় উপস্থিত হইয়া এবং সমন্বয় সভা শেষে তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ঐ দিন বেলা ১.৩০ মিনিটের সময় সি.এন.জি গাড়ী যোগে উপজেলা পরিষদ হইতে গোরকঘাটা জনতা বাজার সড়কদিয়া রওনা হইয়া ঐ দিন বেলা ২ ঘটিকার সময় পানিরছড়া বাজারে পৌছলে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এনামুল করিমকে হত্যা করার উদ্দ্যেশে টেক্সি ও জীপ গাড়ীতে করিয়া সন্ত্রাসীরা এনামুল করিমের পিছু পিছু গাড়ী গোরকঘাটা জনতাবাজার সড়কস্থ কায়কোবাদ রাস্তা সংলগ্ন স্থানে পৌছলে সন্ত্রাসীরা নির্জন স্থান দেখিয়া চেয়ারম্যান এনামের সি.এন.জি গাড়ীর গতিরোধ করে আক্রম করিতেছে এমন অবস্থায় বন্দুকধারী সন্ত্রাসী আসাব উদ্দিন প্রঃ ধলাইয়া (২৫), পিতা- গোলাম মোহাম্মদ, সাং- কেরুনতলী, বিধান কৃষ্ণ ঘোষ (২৬), পিতা- বিবিষণ ঘোষ,সাং- বড়ছড়া, হোয়ানক, সন্ত্রাসীরা বন্দুক তাক করে এনামুল করিমকে আঘাত করিতে থাকে। সন্ত্রাসীদের আঘাতে এনামুল করিমের ডান হাতের হাড় ভাঙ্গিয়া গুরুতর জখম হয়। এনামের আতœচিৎকারে পার্শ্বের লোকজন পথে চলাচলকারী লোকজন দৌড়িয়া আগাইয়া আসে। এ সময় দুই বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদেরকে অবৈধ অস্ত্র ও তিনটি কার্তুজ সহ উপস্থিত লোকজন আটক করে। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখিয়া অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাদের আনিত গাড়ী যোগে দ্রুত পালাইয়া যাইতে সক্ষম হয়। পরে সংবাদ পাইয়া পুলিশ এলাকার লোকজন আটককৃত বন্দুকধারী সন্ত্রাসী ২ জনকে অস্ত্র গুলি সহ আটক করিয়া থানায় নিয়ে আসে। এই ব্যাপারে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মোঃ মহসিন (৩৫), পিতা- আব্দুল মাবুদ চৌধুরী, সাং- কেরুনতলী, হোয়ানক, মহেশখালী থানাকে লিখিত এজাহার দায়ের করেছে। উক্ত এজাহারে ১২জনকে আসামী করে আরো ৮/৯ জন সন্ত্রাসী আছে বলিয়া এজাহারে লিখিত আছে। উক্ত এজাহারের বর্ণনায় বলেছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া পূর্ব পরিকল্পনা মূলকভাবে চেয়ারম্যান এনামুল করিম এনামকে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা হত্যা করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply