শহীদুল ইসলাম কাজল,… মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া মঈনুল ইসলাম সিনিয়র মাদ্রাসা নিয়ে অধ্যক্ষের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সচেতন মহল। অতীতের মত এবারো মাদ্রাসার ধন সম্পদ আত্মসাতের কু মানসে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নামে গোঁপনে পকেট কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিগত সময়ের গভর্নিং বড়ির দাতা সদস্যদের বাদ দিয়ে বর্তমানে নিজের শাশুর, শালা,নিজ পুত্র, ভাগ্নি ও শালার স্ত্রীদের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করে কমিটি গঠন করে মাদ্রাসার ধন সম্পদ লুটপাটের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন অধ্যক্ষ মৌং ছলিম উল্লাহ। অভিযোগ পাওয়া যায় প্রকৃত ভোটারদের বাদ দিয়ে গোঁপনে ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা এড্হক কমিটির সভাপতি এটিএম কাউছার হোসেনের সাথে আতাঁত করে কমিটি অনুমোদন পেয়েছেন। এ সংবাদ এলাকায় প্রকাশিত হলে প্রকৃত দাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও অভিভাবক সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষ মৌং ছলিম উল্লাহ ভ’ঁয়া ভোটার তালিকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কমিটি অনুমোদন নিয়েছেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক দাতা সদস্য সেলিম চৌধূরী জানান, অধ্যক্ষের দূর্নীতি ও অনিয়মের কিছু প্রমান পত্রসহ নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন করে মাদ্রাসার শিক্ষক সংকট সহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য গত ২৯ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেওয়ার দু মাস পরেও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুঁয়া কমিটি গঠনের সুযোগ করে দিয়ে মাদ্রাসা নিয়ে অধ্যক্ষের অনিয়মকে উৎসাহিত করেছেন। এর ফলে এলাকার সচেতন মহলের কাছে কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিচালনা কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য উম্মদ আলী জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেওয়ার দু মাস পরেও তদন্তকাজ শুরু না হওয়ায় গোঁপনে কোন ষড়যন্ত্র চলছে এমন ধারনা হয়েছিল। তবে মাদ্রাসাকে পারিবারিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করায় ভুয়া কমিটি আইনানুগভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানান সাবেক দাতা সদস্য মোজাম্মেল হোসেন তালুকদার। অনিয়ম করেও রেহায় পাওয়ায় মৌং ছলিম উল্লাহ বর্তমানে বেপরোয়াভাবে গুরুতর অনিয়ম, দূর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাত সহ জেডিসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপে বোর্ড নির্ধারিত ফি ৭৫ টাকার পরিবর্তে ৯০০/১০০০ টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় বিগত সময়ে অধ্যক্ষের বিভিন্ন অনিয়ম জানাজানি হলে তিনি ভবিষ্যতে আর অনিয়ম করবেনা মর্মে অঙ্গীকার নামা দিয়েও তিনি বর্তমানে মাদ্রাসার ফ্যান নিজের ফার্মেসীতে এবং বাগানের বাঁশ, খুটি নিজের পানের বরজে ব্যবহার মাদ্রাসার জায়গা বিক্রি করে দেওয়ারমত গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌং ছলিম উল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। আওয়ামীলীগ নেতা ও মাদ্রাসার সাবেক বিদ্যোৎসাহী সদস্য বশির আহমদ জানান, অনিয়মের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করে শূন্য পদগুলোর ১৪ জন শিক্ষক নিয়োগে অধ্যক্ষ নিয়োগ বাণিজ্যের জন্য গোঁপনে ভুঁয়া কমিটি করেছেন।
বিষয় গুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেনের সাথে যোগযোগ করলে গোপঁনে কমিটি গঠনের কথা অস্বীকার করে তিনি জানান, মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় নিয়ে ২৯ জুলাই একখানা অভিযোগ পত্র তিনি পেয়েছেন, যা তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, তাকে যে মাদ্রাসার বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার কোন লিখিত কিংবা মৌখিক নির্দেশ তিনি পাননি। তবে উত্তর মহেশখালীবাসির প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক পন্তায় কমিটি গঠন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবেন।
প্রেরক,
শহীদুল ইসলাম কাজল,
মোবাইল-০১৮১৩-৩৩৯৩২৪
তাং-০৩.১০.১২ ইং
Leave a Reply