শহীদুল ইসলাম কাজল, মহেশখালী/
দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সরকার প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ ও গ্রামের অবহেলিত জনগোষ্ঠিকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য আনন্দ স্কুলের মাধ্যমে যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন তা ঐ সমস্ত প্রকল্পের দেখা শুনার দায়িত্ব প্রাপ্তদের দায়িত্বে অবহেলা ও টাকা আত্মসাতের কারণে প্রকল্পের অবস্থা মহেশখালীতে মূখতুবড়ে পড়েছে। সঠিক তদারকির অভাবে লুটপাটের মাত্রা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বীগ্ন সচেতন মহল। গত শুক্রবার গরীবের টাকা ভাগ বসালেন সরকারী কর্মকর্তারা।সরেজমিনে গিয়ে আনন্দ স্কুল সংশ্লিষ্টের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাত চল্লিশটি আনন্দ স্কুলের চার লাখ সাতান্ন হাজার টাকা বিতরন করতে যান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুভ্রত কুমার ধর, মহেশখালী সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ নুরুল আমিন কাতেবী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত এনজিও কর্মকর্তা প্রশান্ত দাস মঙ্গল।
আগে থেকে আনন্দ স্কুল সংশ্লিষ্ট কাউকে না জানিয়ে গত শুক্রবার টাকা আত্মসাতের কু-মানসে মাতারবাড়ী গিয়ে অনেকটা গোপনীয়ভাবে টাকা বিতরণ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ মাতারবাড়ীর সচেতন মহলের জোর প্রতিবাদ সত্বেও সাত চল্লিশটি কেন্দ্রে থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা লুটে নেয় ব্যাংক ম্যানেজার, শিক্ষা অফিসারও এনজিও কর্মকর্তা। মাতারবাড়ী ইউনিয়নের আনন্দ স্কুলের শিক্ষকরা জানান, ব্যাংক ম্যানেজার ও শিক্ষা অফিসার টাকা বিতরনের পূর্বে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়, তারা আরো জানান, টাকা আত্মসাতের কৌশল নিতে গিয়ে কালক্ষেপন করায় শুধু মাত্র তিনটি কেন্দ্রে টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাদের টাকা আত্মসাতের খবরটি জানাজানি হয়ে গেলে অন্যান্য কেন্দ্রের টাকা বিতরণ না করে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক শিক্ষক জানান, যেহেতু তাদের কাছ থেকে টাকা বিতরনের পূর্বেই প্রাপ্তি স্বীকার পত্রে স্বাক্ষর নিয়েছে, তাই সন্দেহ দেখা দিয়েছে আত্মসাতকৃত টাকা গুলো উদ্ধারে সমস্যা হতে পারে।
আনন্দ স্কুলের টাকা আত্মসাত বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ নুরুল আমিন কাতেবীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো টাকাই বিতরণ করেছেণ বলে দাবী করেন। এ নিয়ে সাথে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুভ্রত কুমার ধর”র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন ধরনের তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায় সংশ্লিষ্টরা সবগুলো কেন্দ্রের টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানালেও আসলে তিনটি মাত্র কেন্দ্রর টাকাই বিতরণ করা হয়। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি খুবইগুরুত্বপূর্ন তাই যথাযত তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জন গুরুত্বপূর্ন এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক টাকা আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply