আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও …কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের উত্তর পাহাশিয়াখালী গ্রামে গোলজার বেগম (৩২) নামের এক মহিলার রহস্য জনক মৃত্যু ঘটেছে ৩ সেপ্টেম্বর দিনে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এলাকায়। সে উক্ত এলাকার শামশুল আলমের স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী বলে জানা গেছে। তড়িগড়ি করে রাতের আধাঁরে দাফন সম্পন্ন করায় সন্দেহ আরো ঘনিভূত হচ্ছে বলে এলাবাসী জানিয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, ওইদিন সকালে গোলজারের মাথায় ব্যাথা শুরু হলে স্বামী ও স্বজনরা তাকে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট পরে জরুরী ভিত্তিতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জরুরী চিকিৎসা প্রদান পূর্বক চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বামীর হাতে অর্পন করেন। স্বামী চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রাইভেট গাড়িতে করে গোলজারকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে তোলার মুহুর্তেই তার মৃত্যু ঘটে। পরে তার লাশ বাড়িতে এনে রাত ৯ টার দিকে দাফন সম্পন্ন করে বলে সংবাদকর্মীদের জানান। এসময় সংবাদিকরা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে সে জানান, রেফার করার সময় সদর হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে একটি কাগজ দেয়া হলেও সে অশিক্ষিত হওয়ায় তা কাউকে না দেখিয়ে স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করে প্রশাসন কিংবা কাউকে না জানিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করেন। তবে দাফন পরবর্তী এলাকার কতিপয় লোক হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত কাগজটি চাইলে তাদেরকে দেখানোর পর তারা জানাই চিকিৎসক তাতে লিখেছে মাথায় প্রাপ্ত আঘাতেই গোলজারের এ করুণ পরিনতি। দাফন পরবর্তী এ ঘটনা জানার পর তার বোধগম্য হয় গত মাস দেড়েক পূর্বে জায়গা সংক্রান্ত বিরুদের জের ধরে পার্শ্ববর্তী একদল সন্ত্রাসী তার পরিবারের লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয় এবং গোলজার তাতে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। ঘটনা পরবর্তী এ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলাও হয় এবং গোলজার বিভিন্ন ডাক্তারের নিকট চিকিৎসাও নিচ্ছিল বলে জানান সাংবাদিকদের। অপরদিকে হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত কাগজ দেখেও মাথায় আঘাত পাওয়ার বিষয়টি সত্যতা পাওয়া যায়। স্থানীয় মেম্বার আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হলে জানান, মহিলাটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছেন। চেয়ারম্যান নূরুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও একই কথা বলেন। এলাকাবাসীও গোলজারের পরিবারের দাবী যদি মারধরের ঘটনায় প্রাপ্ত আঘাতে তার মৃত্যু হয় তাহলে তারা এর সঠিক বিচার চান প্রশাসনের নিকট। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের আইসি এসআই কবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি উক্ত মহিলার স্বাভাবিক মৃত্যুর সংবাদ শুনেছেন তবে উল্লেখিত ঘটনা বা আঘাতের কারণেতার মৃত্যু হয়েছে এজাতীয় কোন অভিযোগ তিনি পাননি। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি গোপনে মোটা অংকের টাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ট করছে বলে গোপন সূত্রে প্রকাশ। বিরুধীয় পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply