কক্সবাজারের খুটাখালীতে মায়ানমারের আবদু ছালাম মিস্ত্রীর পুত্রদের ভোটার করা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী মায়নমারের আবদু ছালাম মিস্ত্রীর ২ পুত্র শহিদুল্লাহ (২৪) ও রিফাত উল্লাহ (২০) গত ১০ জুন থেকে হাল নাগাদ ভোটার তালিকায় নিজেদের অন্তভ’ক্তি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনৈক তথ্য সংগ্রহকারী মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে ভোটার তালিকায় অন্তভুক্ত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয় লোকজনদের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষে বরাবর লিখিত অভিযোগ ও তীব্র আপত্তির কারণে গত ১২ই জুন ছবি তোলার সময় মায়নমারের নাগরিক বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় সে চেষ্টা ভেস্তে গেছে। এলাকার একটি সুত্র জানায় ,স্থানীয় একটি স্বার্থন্বেষী মহলের ছত্র ছায়ায় আবার ও মোটা অংকের মিশন নিয়ে নেমেছে ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম অর্ন্তভ’ক্ত করতে। গত ১৫ই জুন স্থানীয় এনামুল হক আবদুর রহমান, আবদুচ ছুবহান, সরওয়ার আলম, ছিদ্দিক আহমদ লিখিত অভিযোগ করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। অভিযোগের ভিত্তিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মায়নমারের নাগরিক শহিদুল্লাহ ও রিফাত উল্লাহর যাবতীয় তথ্য প্রমানাদি জব্দ করেন। অন্যদিকে এলাকাবাসী আবদু ছালাম মিস্ত্রীর ৩ পুত্র শহিদুল্লাহ,রিফাত উল্লাহ ও শরিফ উল্লাহর সাথে জঙ্গী সম্পৃক্ততার দাবী তুলেন। গত ১সপ্তাহ ধরে তাদের সাথে বার্মাইয়া বেশ ক’জন অপরিচিত লোক ও আনা -গোনা করছে বলে জানা গেছে। সূত্র আরও জানায় সম্পূর্ণ ভিন্ন ঠিকানায় তাদের পিতা আবদু ছালাম মিস্ত্রী কৌশলে পাসপোর্ট বানিয়ে সৌদি আরব চলে যান। তার বিদেশ সফরের নেপথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নানা তথ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ও একটি সূত্র জানিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী রোহিঙ্গা জঙ্গী নেতাদের অর্থায়নে আবদু ছালাম মিস্ত্রী বিদেশে ঘুরে বেড়ান। ঐসব রাষ্ট্র থেকে তিনি টাকা সংগ্রহ করে বাংলাদেশে তার ছেলেদের কাছে পাঠায়। তার ছেলেরা সেই টাকা মায়ানমারের বাসিন্দা তার ভাই আবদু শুক্কুরের নিকট পাঠান। আবদু শুক্কুর ও তার ছেলেরা সে সুবাধে প্রতিনিয়ত বার্মা থেকে বাংলাদেশে আসা যাওয়া করে। সম্প্রতি মিয়ানমারে বৌদ্ধ – মুসলিম দাঙ্গা শুরু হলে শহিদুল্লাহ ও রিফাত উল্লাহর সাথে বেশ ক’জন সন্দেহ জনক রোহিঙ্গাদের ঘুরতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সম্প্রদায়িক উস্কানী প্রদান মূলক সংবাদ সম্মেলনে ও তাদের দু’জনকে দেখা গেছে। স্থানীয়রা এদু’জনকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করার জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উল্লেখ্য এ সংক্রান্ত খবর গত ১১ই জুন কক্সবাজারের বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাওভাবে প্রকাশিত হলে উক্ত মহল কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও ইতিমধ্যে আবারও নড়া চড়া দিয়ে উঠে। কাগজ পত্র অনুসন্ধান করে দেখা যায়- আমিরাবাদ তেন্ডলপাড়ার বাসিন্দা রশিদ আহমদ সম্পর্কে কলিম উল্লাহর আপন চাচা। রশিদ আহমদকে কথিত স্ত্রী আয়েশার পিতা দেখিয়ে প্রতারনা পূবর্ক কাবিন নামা ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করে। মোটা টাকার বিনিময়ে চট্টগ্রাম থেকে শাহাজাহানের ভাড়াঘর ,ছধু চৌধূরী রোড, দক্ষিন কাট্টলী, কাষ্টম একাডেমী,৪২১৯ পাহাড় তলী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এই ঠিকানায় পাশপোর্ট ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড করে নেন। যার আইডি নং-১৫৯৫৫১১৬৬৬৪৭০।
এস.এম.তারেক,ঈদগাঁও,১৩/৭/১২
Leave a Reply