নুরুল আমিন হেলালী :::ঈদ সামনে রেখে শহরের প্রায় সব সড়কের ফুটপাত জুড়ে গড়ে উঠেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের ভাসমান দোকান। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে সড়কের দুপাশে চলাচল করেন পথচারীরা। এতে সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে যানজট।
গতকাল শহরের বিভিন্ন অলি-গলি ঘুরে দেখা যায় ফুটপাত জুড়ে অস্থায়ী সামিয়ানা টাঙিয়ে অনেকগুলো ছোট ছোট দোকান তৈরি করে দেদারছে বিক্রি করছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এগুলোতে বিক্রি হচ্ছে লুঙ্গি, গামছা, শার্ট, চমশা, বেল্ট, জুতা, সেন্ডেল, শিশুদের বাহরী ডিজাইনের পোশাক, কেমিক্যাল মিশ্রিত আম, ফরমালিনযুক্ত মাছ সহ নানারকম পণ্য। পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় তারা হাঁটাচলা করছিলেন অনেকটা সড়কের উপর দিয়ে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এভাবে রাস্তার উপর বসে ব্যবসা করার অনুমতি কারা দিয়েছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, কিছু পুলিশ সদস্যদের দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করেন তারা। শহরের সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, ফজল মার্কেট পান বাজার রোড, এ.ছালাম মার্কেটের সামনের সড়ক, কোর্ট বিল্ডিং চত্বর, লাল দিঘীর পাড় সহ বিভিন্ন বিপনী বিতানের সামনে পুরোটায় ফুটপাত এসব ভাসমান হকারদের দখলে। এসমস্ত এলাকায় ফুটপাত সংলগ্ন সড়ক ও দখল হয়ে গেছে অনেকাংশে। এছাড়া বেশ হয়েকজন হকার বলেন, তাঁরা এলাকার বিভিন্ন বিপনী কেন্দ্রের পাশের জায়গায় বসার জন্য দোকান মালিককে টাকা দিয়ে থাকেন। পান বাজার রোডের হকার কলিম উল্লাহ বলেন, আমাদের বহু কষ্টে ব্যবসা করতে হয়। ঈদের বাড়তি চাহিদা থাকার কারণে আমরা আমাদের ব্যবসা প্রসার ঘটায়। অনেক সময় পুলিশকে ঠিকমত টাকা দিতে না পারলে আবার তাদের ধাওয়া খেতে হয়। এব্যাপারে রাস্তার যানজট নিরসনে দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হকারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথাটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এছাড়া ঈদের আগ পর্যন্ত শহরবাসী ও যানবাহনের স্বাচ্ছন্দে চলাচলের জন্য ইতিমধ্যেই আমরা বিভিন্ন সড়ক হকার মুক্ত করেছি। তবে হকারদের জীবন জীবিকার কথা বিবেচনা করে তাদের পুনবার্সনের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করছে সচেতন মহল।