নুর হাকিম আনোয়ার,টেকনাফ ###পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা তিন দিন ছুটি শেষে অফিস আজ খুলেছে সরকারী কর্মকর্তাদের দেখা নেই। যারা অফিসে এসেছেন তারা কুশলবিনিময় করে সময় কাটাচ্ছেন ও তাদের মাঝে ছুটির রেশ এখনো কাটেনি। রোববার সকালে উপজেলা ও হাসপাতালের অল্প কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখা যায় বারান্দায়, সিঁড়িতে অফিস কে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করতে। টেকনাফ উপজেলা পরিষদ এলাকায় রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়- সমাজসেবা , প্রাথমিক ও মাধ্যামিক শিা, মৎস্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরিসংখ্যান, হিসাব রণ,যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক, উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়,রেড ক্রিসেন্ট, উপজেলা এলজিইডি, খাদ্য গুদাম, উপজেলা সংনিরোধ কেন্দ্র, সাব রেজিস্টি অফিস, বন রেঞ্জার অফিস, সম্পূর্ণ দরজা, জানালা বন্ধ । একমাত্র উপজেলা পরিষদের ইউএনও অফিস, কৃষি অফিস, নির্বাচন কমিশন, সমবায় ও ভূমি অফিস খোলা রয়েছে। তাতে কৃষি অফিসার আবদুল লতিফ ও সমবায় অফিসার কবির আহমদকে দেখা গেছে। তবে অফিস গুলোতে অন্য কোন সিনিয়র কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।এদিকে ৫০ শয্যা একমাত্র হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার আছে মাত্র ৩জন। নাস আছে ১জন। বলা চলে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। ফ্রি চিকিৎসার রেজিস্টার অফিস, এক্সরে,হাসপাতালের গুরত্বপূর্ণ অফিসগুলো একদম বন্ধ রয়েছে। তবে পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্ব থাকা মনোয়ারা বেগম মুন্নীকে অফিস করতে দেখা গেছে। রাতে যাত্রা করে সকালে টেকনাফে পৌঁছেই বৃষ্টির কবলে পড়তে হয়েছে গ্রামে ঈদ কাটিয়ে ফেরা বহু মানুষকে। গত বছর রোজার ঈদে একটানা লম্বা ছুটি মিললেও এবার তা হয়নি। তিন দিন ঈদের ছুটির মধ্যে দুদিন ছিল শুক্র আর শনিবার। আর জামায়াতে ইসলামী মঙ্গল ও বুধবার টানা হরতাল ডাকায় যাত্রীদের চাপ রয়েছে। অফিস-আদালত খোলার দিনে তেমন কোন লোক ও যানজট দেখা যায়নি। রাস্তাগুলোতে ঈদের ফাঁকা ফাঁকা ভাব এখনো রয়েছে। অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে সরাসরি অফিসে এসেছেন বলেও জানান। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ১০টার পরও অফিসে ঢুকতে দেখা গেছে।