ফরিদুল মোস্তফা খান…কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধ বসতিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রামুর পরিস্থিতি স¤পর্কে অবহিত রয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। “সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড সরকার বরদাশত করবে না বলেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন।” ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে শনিবার রাতে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধবসতিতে হামলা চালিয়ে রাতভর তাণড চালায় র্ধমীয় উগ্রপন্থীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা এই হামলায় রামু উপজেলার ৭টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে। বৌদ্ধদের ওপর হামলার খবর পেয়ে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি রতন বড়–য়া নিউ ইয়র্কের র্গ্যান্ড হায়াত হোটেলে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ও পরাষ্ট্রমন্ত্রী হোটেলে না থাকায় পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েসের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রবাসী ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে সচিবকে অনুরোধ করেন তিনি। রামুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন রতন বড়–য়া বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি, হাজার খানেক মানুষ বাসে করে চকরিয়া থেকে রামুতে এসেছে। তারা রামুর ৫০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করেছে।” “নির্বিচারে হামলা, মারধর, লুটতরাজ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। অথচ ওই এলাকার পুলিশ, র্যাব কিংবা আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহনীর সদস্যরা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।” তিনি বলেন, কোরআন শরীফ অবমাননার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়, কারণ বৌদ্ধরা কখনোই হিংসা-বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় না।
Leave a Reply