হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ…বঙ্গোপসাগরে পরপর দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২২৯ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে যথাক্রমে ৬ ও ১১ জন যাত্রী উদ্ধার হলেও বাকী ২২৯ জন যাত্রীর কোন হদিস না পাওয়ায় সলিল সমাধি হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। টেকনাফের উপকূলীয় এলাকায় এখনো নিঁেখাজ হওয়া স্বজনদের আহাজারীতে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। পরিবার গুলোতে চলছে শোকের মাতম। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, এসব যাত্রী ট্রলারের বরফ ও মাছ রাখার স্থানে (কোল্ড ষ্টোর) জমা রাখায় ট্রলার ডুবির সাথে সাথে বের হতে না পেরে অনেকে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিখোঁজ যাত্রীদের পরিবারগুলোও একই ধারনা পোষন করে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর দাবী করেছে। এক সপ্তাহর ব্যবধানে টেকনাফের উপকূলে গভীর বঙ্গোপসাগরে পরপর দু’টি চোরাই পথে সাগর দিয়ে মালয়েশিয়াগামী যাত্রী বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছিল। কোরবানীর ঈদের পর ডুবে যাওয়া ট্রলারে ১৩৬ জন ও অপর ট্রলারে ১৩০ জন যাত্রী ছিল। উক্ত ট্রলার দূ’টি থেকে যথাক্রমে ৬ জন ও ১১ জন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। বাকী ২২৯ জনের এখনো কোন হদিস পাওয়া যায়নি। উদ্ধার পাওয়া যাত্রীরা জানায়, মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ২’টিতে জাল, মাছ, বরফ, রাখার বড় বড় কামরা বিশিষ্ট কোল্ড ষ্টোর রয়েছে। কম স্থানে বেশি মানুষ জমায়েত রাখতে দালালরা ট্রলার ছাড়ার আগেই এসব কোল্ড ষ্টোরে গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই করে। দু’টি ট্রলার ডুবির ঘটনাই আকষ্মিক। সেহেতু ডুবির সাথে সাথে যাত্রীরা কোল্ড ষ্টোর থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ পায়নি বা ছিলনা। সাবরাং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোঃ ইউনুছ সিকদার জানান, ৩ নভেম্বর ১১০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি বেশি দূরে নয়। বিশেষতঃ ভাটার সময় স্থানটি চিহ্নিত করা সম্ভব। উদ্ধার প্রাপ্ত যাত্রীদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটির কোল্ডষ্টোরে যাত্রীদের লাশ থাকতে পারে। স্থানীয় জেলেরা ভয়ে ঘটনা স্থলের কাছাকাছি মাছ শিকারেও যাচ্ছেনা। নিখোঁজ পরিবারের পাশাপাশি তিনিও নৌ বাহিনীর ডুবুরি দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর দাবী করেছেন।
Leave a Reply