সোহরাব হোসেন চৌধুরী………..পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলা জলোচ্ছাসের আক্রমনে তলীয়ে যাচ্ছে। টানা ৬ দিনের বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরসহ পুরো জেলার আনাচে- কানাছে পানিতে ডোবে গেছে। যেন চিনার কোন পদ নেই এটি কি পর্যটন নগরী কক্সবাজার নাকি নতুন একটি জেলা পানির নগরী। শহরের পানি বন্ধি এলাকা ঘুরে দেখতে গেলে, এসএম পাড়া এলাকায় ৮৫ বছরের আলী আহমদ নামের এক বৃদ্ধ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমরা ডোবে যাচ্ছি একটু নজর দেন, আপনার সরকারী কর্মকর্তারা কোন কাজের না। উক্ত বৃদ্ধ আরো বলেন, প্রায় বর্ষার সময় পানি বন্ধি হতে হয় আমাদের। এসময় কিছু মানুষ এসে নদী পাড় বাধঁ দেওয়া হবে বলে চলে যায়। পরে খবর নিয়ে জানা যায় নদীর পাড় বাধেঁর জন্যসহ বিভিন্ন এলাকার সংস্কারের কথা বলে সরকারী কোষাগার থেকে টাকা তুলে খেয়ে পেলে সরকারী কর্মকর্তারা। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আরো কঠোর হয়ে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষার সময় কক্সাবাজার বাকঁখালী নদীর পাড়ের জনবসতি এলাকা এস এম পাড়া, গোদার পাড়া, চৌধুরী পাড়া ,বিডিআর ক্যাম্প বড়ুয়া পাড়া, পেঁতা সওদাগর পাড়া, চান্দেরপাড়া ও মাঝিরঘাট সহ আরো বিভিন্ন এলাকা তলীয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া,মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়াসহ জেলার আনাচে-কানাছে পানি বন্ধি রয়েছে শতাধিক গ্রাম। পাশাপশি এ জলোচ্ছাসে ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় আতংকে রয়েছে পুরো শহরবাসী। এদিকে উক্ত এলাকা গুলো তলীয়ে গেলে ঘর বাড়ি ছাড়া হয়ে যাবে হাজার হাজার জনগন। ইতিমধ্যে প্রায় ২১ জনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে।
এদিকে প্লাবিত এলাকা গুলোর জনগন প্রশাসনকে দায়ী করছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, বেশ কিছু দিন আগে টিভি চ্যানেলে সংবাদ ও পত্র পত্রিকার মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করার জন্য বারবার অনুরোধ করে ছিল জেলাবাসী। তার কোন ফলাফল পায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রায় বর্ষায় প্লাবিত হয় কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা। উল্লেখ্য যে, জেলার বিভিন্ন নদী ভাঙ্গন ও অবৈধ স্পার এবং বাঁধ দেওয়ার বিষয় নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সংবাদ ও পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপানোর পরও প্রশাসনের কোন নজর দেয়নি উক্ত নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায়। তাই আজ আরোও জলোচ্ছাসের কারণে পানি বন্দির স্বীকার হতে হচ্ছে জেলাবাসীকে।
Leave a Reply