হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম,…টেকনাফ উপজেলার হাসপাতাল গেইটে বখাটে ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল গেইটের উভয় দিকে ও প্রধান সড়কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বিশেষতঃ রোহিঙ্গাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাসপাতালে আগত রোগি এবং রোগির সাথের লোকজন বখাটের হাতে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল, হয়রানির শিকার ও ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর অহরহর ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কীম(ডিএসএফ), ঠিকাদান, ডেলিভারী ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করতে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত বিশেষতঃ অধিকাংশই নারী এদের কবলে পড়ছে। উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি এবং স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন কমিটির প্রত্যেক সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডাঃ সামশুজ্জাহান রকিবুন্নেছা চৌধুরী বিষয়টি তুলে ধরলেও পুলিশ প্রশাসন নির্বীকার রয়েছে। প্রশাসনের খাম খেয়ালীপনার সুযোগে বখাটে এবং ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগে কাজের সন্ধানে সুদুর নোয়াখালী থেকে টেকনাফে স্ব-পরিবারে এসে বসবাস করছে নুরু মিস্ত্রি। টেকনাফ হাসপাতাল গেইটের সামনে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের পিছনে ভাড়া বাসায় থাকে। তাদের দুই বখাটে পুত্র আমির(৩০) ও আ:শুক্কুর (২৮) এর নেতৃত্বে রয়েছে পৃথক বখাটে এবং ছিনতাইকারীর সংঘবদ্ধ দল। এদের সারা রাত দিন কাজ হচ্ছে হোটেলে খেয়ে বিল না দেয়া, দোকানপাট থেকে মালামাল কিনে টাকা দেওয়া, হাসপাতালে আগত রোগী এবং সাথের লোকজনের টাকা ও মোবাইল সেট ছিনতাই করা এবং চুরি করা। সুযোগ বুঝে মাঝে মধ্যে চাঁদাবাজিও করে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়- হাসপাতাল গেইটের সন্নিকটে নুরুল আলমের নির্মানাধীন বিল্ডিং-এ গিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। না দেয়ায় নাইট গার্ডকে ফেলে জবাই করে দেয়ার চেষ্টা চালায়। এদুই ভাইয়ের কাছে সবসময় থাকে অত্যাধুনিক ছোরা । কথায় কথায় ছোরা বের করে মারতে উদ্যত হয়। তাছাড়া শিকারী বিগড়ে গেলে আক্রমণ করতে পিছপা হয়না। হাসপাতাল গেইটের দোকানদার আঃ শুক্কুর পণ্য বিক্রির পাওনা টাকা দাবী করায় তার উপর ছোরা নিক্ষেপ করে। ভাগ্যক্রমে সে রক্ষা পায়। ফার্মেসী থেকে শুরু করে প্রত্যেক দোকানপাটেই চলছে এভাবে অত্যচার। বাড়তি ঝামেলা মনে করে আক্রান্ত কেউ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারস্থ হচ্ছেনা। তাছাড়া উপজেলা পরিষদের পানির পাম্প মেশিন চুরির ঘটনায়ও এরা জড়িত এবং এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাগণও এদের জ্বালাতনে অতিষ্ঠ। গত ৩১ আগষ্ট টেকনাফ হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে স্থায়ী পদ্ধতির ক্যাম্পে সেবা নিতে আসা একজন ক্লায়েন্ট বাড়ি ফেরার সময় হাসপতাল গেইটে পৌছলে হামলা চালায়। হাসপাতাল গেইটের সকল দোকানপাট, রোগি ও সাথের লোকজন এদের নিকট জিম্মী হয়ে পড়েছে। অথচ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এতে বিশেষতঃ রোগিসহ সর্বসাধারণের নিকট মারাত্মক বিরুপ প্রভাব পড়েছে।#####
Leave a Reply