ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। এ উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ইনানী পাথুরে সৈকত, হিমছড়ি ঝর্ণা, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, সোনাদিয়া ও সাফারিপার্কসহ সব পর্যটন স্পট নতুন সাজে সেজেছে। পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁসহ সব প্রতিষ্ঠানও সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু বাধ সেধেছে হরতাল। হরতালে সহিংসতার আশঙ্কায় পর্যটকরা বুকিং বাতিল করছে। ফলে সব আয়োজন ভেস্তে যাওয়ার জোগার।
নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার প্রতিবাদে ১৩ ও ১৪ আগস্ট জামায়াতের ডাকা হরতালের কারণে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা শঙ্কা ও হতাশার মধ্যে পড়েছেন। রাজনৈতিক গোলযোগের কারণে সারা বছর ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় তারা এমনিতেই হতাশ। ঈদে কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার আশায় ছিলেন কিন্তু ফের হরতালের কারণে অনেক প্রত্যাশার ঈদমওসুমও ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
পাঁচ তারকা হোটেল সী-গালের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার নুর উদ্দিন বাংলামেইলকে বলেন, ‘রাজনৈতিক গোলযোগের পুরো মৌসুম মন্দা গেছে। ঈদের ছুটিতে কিছুটা প্রত্যাশা থাকলেও হরতালের কারণে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ঈদের পর দিন থেকে টানা ১০ দিন পর্যন্ত তাদের ১৭৯টি কক্ষের ৮০ ভাগই অগ্রীম বুকিং হয়ে গিয়েছিল। হরতাল ঘোষণার পর অনেকেই বুকিং বাতিল করে টাকা তুলে নিয়েছে।
একই কথা জানালেন তারকা মানের হোটেল সী প্যালেসের নির্বাহী কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান। তিনি জানান, ঈদের পর তাদের ২৫২টি কক্ষের মধ্যে ৮০ ভাগ অগ্রীম বুকিং ছিল। কিন্তু হরতালের কারণে সব বুকিং বাতিল হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘এ হরতাল আমাদের বাড়া ভাতে ছাই দেয়ার মতো। আমাদের সব আশা শেষ হয়ে গেল। পর্যটকরা অধিকাংশ কক্ষ বুকিং ইতিমধ্যেই বাতিল করে টাকা ফেরত নিয়ে গেছেন।’
তবে পুলিশ কর্মকর্তা মো. আজাদ মিয়া বাংলামেইলকে বলেন, ‘পর্যটকদের পদচারণা যেন নির্বিঘ্ন হয় সে জন্য সব ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হরতালের কোনো ধরনের প্রভাব যেন পর্যটন ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সে জন্য প্রশাসন হার্ডলাইনে থাকবে।’
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় কক্সাজার জেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।