টেকনাফ প্রতিনিধি …টেকনাফ উপজেলার স্কুল মাদ্রাসায় ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়া লেখার চেয়ে অবৈধ ব্যবসায় সফল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর । কক্সবাজার জেলার সর্বত্র ইসলাম অবমাননার কারণে হামলার ঘটনায় টেকনাফ উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করার সুযোগে অবৈধ ব্যবসায়ীরা পুরো দমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এবং নতুন নতুন অবৈধ ব্যবসায়ী সৃষ্টি হয়ে তাদের কাতার ভারী হচ্ছে। অবৈধ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের ধড়পাকড় ও কারাগার কে মোটেও তোয়াক্কা করছেনা। কারণ ধরা পড়লেও অতি সহজে কম সময়ে ছাড়া পাওয়ায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ভয় পায়না। এমনকি অবৈধ পন্য নিয়ে কারা ভোগ করার পরও তারা অনুতপ্ত না হয়ে বরং মান সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করে অনেকে। টেকনাফ উপজেলার একাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করে জানা যায়- সম্প্রতি চট্রগ্রামে পোনে ৩লাখ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক গডফাদার আবদুর রশিদ কুলু মাত্র ২৭ দিনের মাথায় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে টেকনাফের অন্যান্য ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নতুন ভাবে সাহস যোগাতে সক্ষম হয়েছে। তারা মনে করে । এটা হচ্ছে তাদের শ্লোগান। তথ্যানু সন্ধানে জানা যায়- গত ১৮ মে স্মরণ কালের সর্ব বৃহৎ সালান ৩ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রশিদ কুলু ও তার ৩ সহযোগি আটকের পর থেকে প্রায় দেড় মাস আরাম আয়েশে জামাই আদরে কারা হাসপাতালে ছিলেন। একজন দেশের কুখ্যাত আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী হওয়ার পরও অল্প সময়ে কারা মুক্তি লাভ করায় অবৈধ ব্যবসায়ীরা কিছুই ভয় পাচ্ছেনা। ফলে আব্দুর রশিদ কুলুর প্রধান সহযোগী টেকনাফের জামাই বক্কর চট্রগ্রাম ষ্টেশন রোডের রয়েল টাওয়ারের রয়েল ট্রেডিং এ বসে আগের চেয়ে ভালভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে নিয়েছে। সূত্রে জানা যায়- জামাই বক্কর বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মিশন নিয়ে টেকনাফে এসে নতুন ভাবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল শিখিয়ে নতুন আরেকটি সিন্ডিকেট সৃষ্টি করেছে। ঐ সিন্ডিকেটে স্কুল, মাদ্রাসায় পড়–য়া উঠতি বয়সের শিক্ষার্র্থীরাও রয়েছে। তারা বক্করের নির্দেশনা মত নিয়মিত মাঠে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তাদের আগের সিন্ডিকেটেও আতাউল্লাহ নামের একজন মৌঃ ছিলেন। এদিকে সেই আলোচিত আব্দুররশিদ কুলু ছাড়া পাওয়ার পর থেকে নতুন কৌশলে ব্যবসা পরিচালনার পাশা পাশি তার বিপদের সময় কে বা কারা যোগান দিয়েছিল ঐসব তথ্যানুসন্ধান করে টেকনাফ এলাকার অনেককে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফের একজন সচেতন মহল দাবী করেন এএলাকায় এঅবস্থায় ইয়াবা রোধ কোন ভাবে সম্ভব নয়। যেখানে সেই রশিদ কুলু স্ব-সম্মানে অল্পদিনে জামিনে বেরিয়ে এসেছে সেখানে ছোট খাট ব্যবসায়ীদের কিছু আসে যায়না। তাকে দ্রুত আবার গ্রেফতার পূবর্ক উচিত শাস্তি প্রদানের দাবী জানান। টেকনাফ এলাকার অবৈধ ব্যবসায়ীরা আবদুর রশিদ কুলু প্রকাশ (ইয়াবা কুলু)র অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় দিন দিন অবৈধ ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে। অবৈধ ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের প্রতি সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্থরের জনসাধারণ।
Appreciate news.