রামু উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে জড়িতদের চিহ্নিত করতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আট দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে রোববার (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) নিউইয়র্কের বাংলাদেশ মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এহেন অপকর্মে কারা জড়িত সেটি উদঘাটনের জন্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চলছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে- যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি শক্তহাতে হ্যান্ডেল করার জন্যে।”
দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই একটি গোষ্ঠী উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে বৌদ্ধ বসতিতে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ফেইসবুকে কোরআন অবমাননার অভিযোগে শনিবার রাতে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায় ধর্র্মীয় উগ্রপন্থীরা। রাতভর হামলায় সাতটি বৌদ্ধ মন্দির, অন্তত ৩০টি বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় আরো শতাধিক বাড়ি ও দোকানে।
এরপর রোববার চট্টগ্রামের পটিয়া এবং কক্সবাজারের উখিয়ার হিন্দু ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ওই অঞ্চলে উগ্রপন্থী মৌলবাদের ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল। তাই কোনকিছু হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই।”
দেশের মানুষের নিরাপত্তায় যা করা দরকার, তার সবই করা হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
বিরোধী দলের নির্দলীয় সরকারের দাবি, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত এবং পদ্মা সেতু প্রসঙ্গেও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার মামুন-অর রশীদ। সঞ্চালনায় ছিলেন রাষ্ট্রদূত এ কে এ মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মিশনের অনুষ্ঠান শেষে নিউ ইয়র্ক সময় রাত ১১টা ২০ এ (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ২০) এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply