এম. কফিল উদ্দিন,…>পেকুয়া উপজেলার যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মগনামা-বরইতলী রাস্তার মাথা সড়কের কাটাফাঁড়ি পয়েন্টে ‘সমুদ্র সরনী’ ৭২.৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রীজটি নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি অর্ধনির্মিত ব্রীজের পাশে বেইলী ব্রীজটি দফায় দফায় ভেঙ্গে যাওয়ায় অবর্নণীয় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় ২লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে গত ৬সেপ্টেম্বর বেইলী ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দূর্ভোগ আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে। জীবনের ঝুকি নিয়ে পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ২লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করছে অস্থায়ী বাশের সাকোঁ দিয়ে। জানা যায়, বেইলী ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গত জোট সরকারের আমলে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বাজেটে ‘সমুদ্র সরণী’ নামক ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদার নানা অজুহাত দেখিয়ে ওই সরকারের আমলে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই ব্রীজটির বন্ধ করে দেয়। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঠিকাদার পলাতক থাকায় ব্রীজের কার্যাদেশ বাতিল হয়ে যায়। সে সময় থেকে ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে যা ন ও জন যাতায়াতের সুবিধার্তের বিষয় বিবেচনায় এনে চকরিয়া-পেকুয়া’র বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এমপি সাফিয়া খাতুন পূন: নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ব্রীজটি পূন: টেন্ডারের মাধ্যমে সাফিয়া খাতুন এমপি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এরপরে বেশ কয়েক মাস নির্মান কাজ চললেও তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে কেউ খবর রাখেনি এ ব্রীজটি নিয়ে। ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন স্থানীয় চোর চক্র ব্রীজের রড়, বালু, কংকরসহ নির্মাণ কাজে ব্যবহারকৃত উপাদান চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। উলে¬খ্য যে, নির্মাণাধীন ব্রীজের পাশে বেইলী ব্রীজটি দিয়ে পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করত। বেশ কয়েকবার ওই বেইলী ব্রীজটি রেলিং ভেঙ্গে খালে পড়ে গিয়েছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি অতিরিক্ত পাথর বোঝাই ট্রাক ব্রীজের উপরে পৌছলে রেলিং ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এখন মানুষ অস্থায়ী বাশের সাকোঁ দিয়ে যাতায়াত করছে। কাটাফাঁড়ি এলাকার ফরহাদ চৌধুরী, আমিরুল খোরশেদ, খাইরুল ইসলাম, মিজান অনেকেই জানান, সমুদ্র সরণী ব্রীজটি যদি কাজ সম্পন্ন হত তাহলে জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই নড়বড়ে বেইলী ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হত না। এখন ওই বেইলী ব্র্রীজটিও ভেঙ্গে যাওয়ায় চরমভাবে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে এলাকার কিছু চোর লক্ষ লক্ষ টাকার ব্রীজ তৈরীর উপাদান চুরি করে নিয়ে গেছে। এভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলে যদি কার্যাদেশ আবার বাতিল হয়ে যায় আমাদের দূর্ভোগ দূর্ভোগেই থেকে যাবে। ‘সমুদ্র সরনী’ ব্রীজটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় এবং বেইলী ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয় লবন ও মৎস্য ব্যবসায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত যাতায়ত খরচ পুষতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তড়িৎগতিতে জনদূর্ভোগ লাগবে বেইলী ব্রীজটি সংস্কার ও ‘সমুদ্র সরণী’ ব্রীজটি পূন: নির্মান এখন জনসাধারনের প্রানের দাবী। উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ভাঙ্গা বেইলী ব্রীজটি সংস্কার হলেও ঝুকিপূর্ণ থাকবে। সওজ কর্তৃপক্ষ এ ব্রীজটিকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখন ‘সমুদ্র সরনী’ নামক ব্রীজটি নির্মান সম্পূর্ণ করা খুবই জরুরী। এ ব্যাপারে সওজ (সড়ক ও জনপথ) বিভাগ চকরিয়া শাখা জানান,জনস্বার্থে অতিস্বত্তর ক্ষ্রীজটির কাজ শুরু করা হবে।
এম. কফিল উদ্দিন
পেকুয়া প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৮১৫-৩৬৩৮০৮/০১৬৭৬-২৫৩৮৪৬
তাং: ০৩,১০,২০১২
Leave a Reply