সাইফুল ইসলাম…সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। এর কয়েকটি তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য, যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকার দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল না করলে তা অবৈধ হয় কিভাবে? এর যেসব আউটার ক্যাম্পাস উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে সেগুলোকে অবৈধ বলা আদালত অবমাননার শামিল নয় কি? রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ দিয়ে কেন এর যাবতীয় সমস্যার মূল উটপাঠন করা হচ্ছে না? এর সমস্যার সমাধান দিতে সরকার ব্যর্থ হলে কেন তা এখনো বন্ধ করে দিচ্ছে না? যতক্ষণ সরকার তা বন্ধ করে দিচ্ছে না ততক্ষণ তাতে ছাত্র ভর্তি হতে বাধা কোথায়? যারা ভর্তি হয়েছে বা হচ্ছে তাদেরকে শেষ করে দিতে কি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্য নয়? বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ মতে প্রত্যেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ১২ বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে প্রাই ২৪ বছর পরও দারুল ইহ্সানের স্থায়ী ক্যাম্পাস সাভারের গণকবাড়ীকে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় মেনে নিতে পারছে না কেন? তাদের নিজেদের করা আইন নিজেরাই না মানার রহস্য কী? কেন তদন্ত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেন কর্তৃপক্ষ নিজেরা সিদ্ধান্ত না দিয়ে মিডিয়ার উপর ভর করে চলতে চায়? সবকিছুর সারাংশ হল সরকার ইচ্ছা করলে মুহুর্থের মধ্যেই সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে। আশা করি কোন বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে এবং অভিভাবকদের উপর ছেড়ে না দিয়ে কর্তৃপক্ষই দ্রুত সিদ্ধান্ত দেবে। তার আগ পর্যন্ত সবকিছুই স্বাভাবিক ভাবে চলবে ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক
সাইফুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী
দারুল ইহ্সান বিশ্ববিদ্যালয়, ককসবাজার ক্যাম্পাস।
Leave a Reply