বৃটেনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব ফুড রিসার্চের খাদ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনকার ডিম ৩০ বছর আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এর কারণ পোল্ট্রি খামারগুলোতে মুরগির খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের চেয়ে অনেক বেশি ভিটামিন ডি ও অন্য পুষ্টি উপাদাসমৃদ্ধ খাবার খেতে দেয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ পোল্ট্রি খামারেই এখন হাঁস-মুরগির খাবারের গুণগত মান ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফলে মুরগির দেহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ক্যালরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট জমতে পারে না। শুধু তাই নয়। ডিমে এখন আগের চেয়ে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আর তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কারণ এ উপাদানগুলো হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। ১৯৮০’র দশক থেকে পোল্ট্রি খামারগুলোতে গম, শস্যদানা, ভেজিটেবল তেল ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবারের মিশ্রণ তৈরি করা হচ্ছে। বৃটিশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গড়পড়তায় একটি মাঝারি আকারের মুরগির ডিমে ১৯৮০ দশকের চেয়ে এখন ২৫ শতাংশ কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে। ১৯৮০ দশক ও তার আগে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যেতো, এখন সে পরিমাণ দ্বিগুণ। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মুরগির ডিমে ১৭৭ মাইক্রোগ্রাম কোলেস্টরেল রয়েছে। এর আগে এ পরিমাণ ২০২ মাইক্রোগ্রাম রেকর্ড করা হয়েছিল। একই সঙ্গে খাদ্য-বিশেষজ্ঞরা যা ভেবেছিলেন, ডিমে ক্যালোরির পরিমাণও তার চেয়ে কম। একটি মাঝারি আকৃতির ডিমে ৬৬ ক্যালোরি পাওয়া যায়, ৭৮ ক্যালোরি নয়।
Leave a Reply