আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:
টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস আমদানী রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও রপ্তাণী বাণিজ্যে চমক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে । রপ্তাণী পণ্যের তালিকায় প্রতি মাসেই যুক্ত হচ্ছে নতুন আইটেমের পণ্য । সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য । রপ্তাণী বাণিজ্যে লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও বাংলাদেশে উৎপাদিত নতুন নতুন পণ্য টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় মিয়ানমারে রপ্তানীর পরিধি ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই মাসে (সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ১৪ প্রকারের বাংলাদেশী পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে । তম্মধ্যে ছিল- সেপ্টেম্বর মাসে ৫৪টি চালানে ১ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৮ টাকা মুল্যের এবং অক্টোবর মাসে ৩৫ টি চালানে ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৯ টাকা মুল্যের বাংলাদেশী পণ্য । এসব রপ্তাণী পণ্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- বাংলাদেশী লুঙ্গি, টাওয়াল, আলু, জুতা-সেন্ডেল, অক্স-পেনিস (ষাঁড়ের লিঙ্গ), মানুষের চুল । তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়- সেপ্টেম্বর মাসে ১টি চালানে ১০০পিস লুঙ্গি, ১টি চালানে ৩৩৪পিস টাওয়াল, ৩টি চালানে ২৯হাজার ৮৮ জোড়া জুতা-সেন্ডেল, ৪টি চালানে ৫.১০০ মেট্রিক টন মানুষের চুল এবং অক্টোবর মাসে ৩টি চালানে ৩.২ মেট্রিক টন ষাঁড়ের লিঙ্গ, ৩টি চালানে ২৫হাজার ৪ জোড়া জুতা-সেন্ডেল, ১টি চালানে ২হাজার পিস লুঙ্গি, ১টি চালানে ১মেট্রিক টন আলু, ২টি চালানে ১.৭৫মেট্রিক টন মানুষের চুল টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমারে রপ্তাণী হয়েছে । এভাবে প্রত্যেক মাসে নতুন নতুন আইটেমের পণ্য রপ্তাণী বাণিজ্যের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ।
Leave a Reply