হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, , টেকনাফঃ ঐতিহ্যবাহী টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক কোচিং ফি নেওয়া হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিভাবকগণ এসব অবৈধ কোচিং বাণিজ্য বন্দ করতে ১১ জুলাই যৌথ স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগপত্র স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, শিক্ষা অফিসার ও মেয়রের নিকট দাখিল করেছেন। কোচিং না করে জোরপূর্বক কোচিং ফি আদায় নিয়ে অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও অন্তোষ বিরাজ করছে। পাশাপাশি স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক কত্তৃক মাসিক জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে না দিলে আগামী ১৪ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২য় সাময়িক পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়া হবেনা বলে ঘোষণা দেয়ার পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়- টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী আগামী ১৪ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২য় সাময়িক পরিক্ষার ফি দিতে গেলে কর্তব্যরত শিক্ষক (ধর্মীয়) মাওঃ মোহাম্মদ আলী মাসিক জনপ্রতি কোচিং ফি বাবৎ ৩০০ টাকা করে যোগ করে দেন। কোচিং না করেও জনপ্রতি মাসিক ৩০০ টাকা করে কোচিং ফি দাবী করায় শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে অসম্মতি জানালে টাকা না দিলে প্রবেশপত্র দেওয়া হবেনা বলে হুমকি এবং পরিক্ষার ফি গ্রহণ না করে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে দেন। এতে ১৪ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিতব্য ২য় সাময়িক পরিক্ষায় স্কুলের ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ অনিশ্চিত, শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা এবং অভিভাবক মহলে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ পাইলট হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন- যেসব ছাত্র কোচিং করেছে শুধু তাদের কাছ থেকেই কোচিং ফি নেওয়া হচ্ছে, গণহারে কোচিং ফি নেওয়া হচ্ছেনা।##
Leave a Reply