মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ টেকনাফে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অসতর্কতা এবং খামখেয়ালীপনায় হাজার হাজার গ্রাহকদের মোটা অংকের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিষয়টি মাসিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার শেষ তারিখ নিয়ে। একেতো অল্প দিনের ব্যবধানে কয়েক দফা বিদ্যুৎ দাম বৃদ্ধি করেছে। উপরন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আগের তুলনায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। এই ২কারণে বিদ্যুৎ বিল আসে আগের তুলনায় ২/৩গুন বেশী। অক্টোবর ২০১২ইং মাসের বিদ্যুৎবিল পরিশোধের শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছে ২ নভেম্বর। বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ সাধারণত উপরোক্ত ২টি কারণে বিল পরিশোধে শেষ তারিখেই বিল পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তু এবারে ২নভেম্বর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ হওয়ায় শত শত গ্রাহক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। ২নভেম্বর ছিল শুক্রবার এবং ৩নভেম্বর শনিবার সরকারী বন্ধ।লাগাতার ২দিন সরকারী বন্ধ থাকায় শথ শত বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ বিল পরিশোধ করতে পারেননি। ৪নভেম্বর ব্যাংক ও সরকারী অফিস খোলার প্রথম দিন বিল পরিশোধ করতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালীপনার কারণে বিদ্যুৎ গ্রাহকগণকে বাধ্য হয়ে বিলম্ব ফি দিতে হয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ কামাল হোসেন জানান- বিদ্যুৎ বিল তৈরীর সময় একটি নির্ধারিত সাইকেল অনুসরণ করে বিল পরিশোধের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বিল পরিশোধের শেষ তারিখ শুক্র, শনিবার বা সরকারী ছুটির দিন পড়ে গেলে পরবর্তী খোলার তারিখে বিলম্ব ফি ছাড়া কেবলমাত্র অফিসে বিল জমা নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামঞ্চলের হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহক এসব মারপ্যাচ না জেনে বিল পরিশোধের নির্ধারিত ব্যাংকে বিল পরিশোধ করতে গেলে তারা এসব নিয়ম তোয়াক্কা না করে বিলম্ব ফি ঠিকই আদায় করেন। এভাবে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় কয়েক হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক এবারে বিলম্ব ফি’র কবলে পড়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। খুব কম সংখ্যক গ্রাহক পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধ করায় হয়ত এই বিড়ম্বনা থেকে রেহাই পেয়েছেন। #########
পল্লী বিদ্যুত আমাদের কে বেশি হয়রানি করতেছে .তাই আমাদের সবাইকে একজোট হয়ে আন্দোলন করতে হবে ।