হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ..সারা দেশের মধ্যে শিক্ষার হার সর্ব নিম্নে সীমান্ত ও পর্যটন শহর টেকনাফ উপজেলার ৩৪টি সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ২১৫টি অনুমোদিত পদের মধ্যে ৪৮টি শুন্য পদের বিপরীতে সহকারী শিক্ষকের বিদ্যমান শুন্য পদে ৪৫ জন সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) তাপস কুমার পাল স্বাক্ষরিত স্মারক নং জেপ্রাশিঅ/কক্স/২০১২/১১ তারিখ ২৮/৮/২০১২ ইং মূলে নিয়োগ আদেশের প্রেক্ষিতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকাগণ গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান শুরু করেছেন। তবে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত বছর। এই ৪৫ জনের মধ্যে ২৭ জন টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা হিসাবে চাকুরী পেয়েছেন। এই ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জনই নারী ও ৯ জন পুরুষ। এছাড়া কক্সবাজার জেলার অন্য উপজেলার ৭ জন এবং কক্সবাজার জেলার বাইরের ১১ জন বাসিন্দা রয়েছেন। মোট ৪৫ জনের মধ্যে ৩২ জনই নারী এবং ১৩ জন হচ্ছে পুরুষ। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলায় মোট ৩৪ টি সরকারী প্রাইমারী স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে অনুমোদিত মোট পদের সংখ্যা ২১৫টি। সরকার প্রত্যেক বছরই প্রাইমারী স্কুল গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে। কিছু বছর শুরুর আগেই ৪০ থেকে ৫০টি পদ শুন্য হয়ে যায়। টেকনাফ উপজেলার বাইরের বাসিন্দা, কক্সবাজার জেলার অন্য উপজেলার বাসিন্দা, কক্সবাজার জেলার বাইরের জেলা ও উপজেলার বাসিন্দা তদবিরের জোরে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করার পর পরই এক বছরের পিটিআই ট্রেনিং এ চলে যান। ট্রেনিং শেষ হওয়ার আগেই আবার তদবির করে নিজের সুবিধা মত স্থানে বদলি চুড়ান্ত করে রাখেন। ট্রেনিং শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাঁরা বদলি হয়ে চলে যান। ফলে টেকনাফের শুন্য পদগুলো আর পূরণ হয়না। এতে স্কুলগুলোতে অচলাবস্থা এবং শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত অব্যাহত থাকে। এভাবে বছর না ঘুরতেই দেখা যায় ৪০ থেকে ৫০টি শিক্ষকের পদ শুন্য হয়ে পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে-২০০৯ সনে টেকনাফ উপজেলায় ১৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল, তম্মধ্যে ১০ জন বদলি হয়ে চলে গিয়েছেন। ২০১০ সনে নিয়োগ দেয়া ৫৯ জনের মধ্যে ১৯ জন বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। ২০১১ সনে নিয়োগকৃত ৮ জন বর্তমানে পিটিআই ট্রেনিং এ রয়েছেন। বর্তমানে নিয়োগ প্রাপ্ত ৪৫ জন যদি যোগদানও করে আরও ৩টি পদ শুন্য থাকবে। তম্মধ্যে ২টি প্রধান শিক্ষকের ও ১টি সহকারী শিক্ষকের। প্রধান শিক্ষকের পদ দু’টি হচ্ছে- সেন্টমার্টিনদ্বীপ সরকারী প্রাইমারী স্কুল ও কেরুনতলী সরকারী প্রাইমারী স্কুল। তাছাড়া বর্ণালী বড়–য়া নামে ১জন সহকারী শিক্ষিকা সম্প্রতি পদত্যাগ করায় পদটি শুন্য হয়ে পড়েছে।###########
Leave a Reply