ছৈয়দ আলম,টেকনাফ রমজানকে সামনে রেখে টেকনাফের ৩ টি চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্য সক্রিয় হয়ে টেকনাফ বাসষ্টেশন থেকে প্রতিদিন মিয়ানমারে পাচার করছে কয়েক লক্ষ টাকার, তেল, চিনি ও ময়দাসহ বিভিন্ন নিত্যপন্য । এসব চোরাচালান কাজে টেকনাফ পুরাতন বাষ্টেশনের কয়েকটি মুদির দোকানদার জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দোকান গুলো হচ্ছে সাদ্দাম সওদাগরের মুদির দোকান ও রশিদ সওদাগরের মুদির দোকান । প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১/১২টা পর্যন্ত এ দোকান দুইটির সামনে ও আশপার্শে বিভিন্ন কৌশলে চোরাকারবারীরা অবস্থান করে এ দোকান দুইটি থেকে তেল, চিনি, চাল, ময়দা ও বিভিন্ন চোরাইপন্য প্রায় জ্জ লক্ষ টাকার পন্য মিয়ানমারে পাচার করছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, এসব চোরাচালানে জড়িত ৩ টি সিন্ডিকেট । ২টি সিন্ডিকেট রয়েছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলী ও কেরুনতলী এলাকার। অপরটি টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া পয়েন্ট । নেজাম, বিয়াই, কবির মেম্বারসহ কয়েকজন নিয়ন্ত্রন করে বরইতলী কেরুনতলী । জামাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে বরইতলী কেরুনতলী। নাইট্যংপাড়া নিয়ন্ত্রন করে ছৈয়দ আলম ও জাকুসহ একটি সিন্ডিকেট । এসব পন্য পাচারের সময় তারা টেকনাফ বাসষ্টেশনে,আবদুল্লার প্রেট্রোল পাম্পের সামনে , বাসটার্মিনালে, নাইথ্যংপাড়া, রেষ্টহাউজের সামনে, উঠনির উপরে , উঠনির উত্তর বট গাছের নীচে, রফিকের দোকানে , ইলিয়াছের দোকানের সামনে, আনসার ক্যাম্পের পূর্বেসহ বিভিন্ন জায়গায় পাহারা দেয়। এমনকি পাচারকারীদের কাছে মটর সাইকেল রয়েছে । এ মটর সাইকেল নিয়েও তারা পাহারা দিয়ে যায় । অভিযোগ উঠেছে এসব চোরাকারবারীরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এসব পাচার করে যাচেছ । নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি বলে, ওই তিন এলাকায় যে সব বিজিবির টহলরত দল ডিউটি কওে তাদেরকে ম্যানেজ করতে পারলে রাত ১২টার আগেই মিয়ানমারে পন্য পাচার হয়ে যায় । যদি ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে রাত ১২টার পর বিজিবিকে পাহাড়া দিয়ে এবং তাদেরকে ফাকি দিয়ে এসব পন্য মিয়ানমারে পাচার করে । টেকনাফ বাসষ্টেশনের স্থানীয়রা মনে করেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে দোকান বন্ধ করার সময় পর্যন্ত যদি উপরে উল্লেখিত দোকান গুলো সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃক পাহারা দেয় তবে মিয়ানমারে চোরাই পন্য পাচার অনেকটা কমে যাবে।
Leave a Reply