আবদুল্লাহ নয়ন:..উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকা এখন ইয়াবার আগ্রাসনে চরমভাবে বিপর্যস্থ। মিয়ানমারের নাগরিক ও বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের আত্মীয়রা মিলে ইয়াবা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ফলে কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছেনা ইয়াবা সিন্ডিকেটদের। সীমান্ত নাফ নদী ও টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে অভিনব কায়দায় নিয়ে আসছে এসব ইয়াবা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে টেকনাফ থেকে বছরে প্রায় ৮শত কোটি টাকার ইয়াবা বেচাকেনা ও পাচার হচ্ছে। যার সিংহভাগই যাচ্ছে টেকনাফ স্থল বন্দর হয়ে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা পাচারে টেকনাফ স্থল বন্দর ব্যবহারকারী মিয়ানমারের নাগরিকের সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রমাণ রয়েছে আইন প্রয়োককারী সংস্থার হাতে। পাশাপাশি বাংলাদেশি কিছু ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্টতাও পাওয়া গেছে।
বিশ্বস্থ সুত্র জানায়, যুব সমাজকে ধ্বংসের মুল অস্ত্র ইয়াবা ব্যবসায় র্দীঘ দিন ধরে বাংলাদেশে বসবাসকারী মিয়ানমারের প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার রোহিঙ্গা জড়িত রয়েছে। আর এই সব মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে আমদানী কৃত পন্যে বস্তার মধ্য দিয়ে সারা দেশে ইয়াবা ছড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে পাচার হয়ে যাওয়া বরই’র বস্তার ভেতর থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা মুল্যের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট র্যাব-১ এবং র্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করে। একই সাথে মিয়ানমারের নাগরিক আবদুর রশিদসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। এরপরও থেমে নেই ইয়াবা পাচার।
টেকনাফ স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানীকারক ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে সৎ ব্যবসায়ীদের সম্মান হানি হচ্ছে। যারা ব্যবসার নামে অপ-ব্যবসা করে যুব সমাজ ধ্বংস করে দিচ্ছে-আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
ফ্রি ষ্টাইলে আমদানীকৃত পন্যের মধ্যদিয়ে স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ও হেরোইন চোরাকারবারীদের রক্ষিত গোপন স্থানে উঠছে। উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আসা ইয়াবা চোরাচালানী মাফিয়া চক্রের সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র জড়িত রয়েছে।
টেকনাফ স্থল বন্দর ষ্টেশন কর্মকর্তা কাজী আবুল হোসাইন জানান, ইয়াবা জিনিসটি খুবই ছোট। তিন-চার হাজার বস্তা পণ্যের মাঝে কোনটাতে ইয়াবা আছে তা ধরতে হলে প্রতিটি বস্তা খুলে খুলে দেখতে হবে। অন্যথায় সম্ভব নয়। কারণ টেকনাফ স্থল বন্দরে আধুনিক কোন যন্ত্রপাতি নেই।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মাওলানা মুজিবুর রহমান, ইয়াবার করাল গ্রাসে কবলে এখন সীমান্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা। টেকনাফের অনেক সচেতনমহল কোন স্থানে গেলে টেকনাফের বলে পরিচয় দিতেও এখন লজ্জাবোধ করছে।
এই মাদক ইয়াবাকে রোধ করা না গেলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সহ সামাজিক মূল্যবোধের উত্তরণ কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা ।
better close teknaf import export system no need any items from mondow -teknaf any import mustbe direct from rangon to chittagong , try this maybe SAFE for drugs
allah hafez