জেড করিম জিয়া, …টেকনাফ থানায় বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মামলার গুরুত্বপূণ আলামত, বিভিন্ন মামলার দায়ের হওয়া এ আলামত রাখা হয়েছে উন্মুক্ত খোলা আকাশের নিচে।অথচ এসব আলামতই মামলার অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে আদালতে উপস্থাপিত হয়ে থাকে। এসব আলামত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পুলিশের অযতেœ অবহেলায়। গাড়ি জব্দ করে মামলা পর নিলামে বিক্রি হলে সরকার প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখতে পারে। এতে রাষ্ট্র ও যানবাহনের মালিকসহ উভয় পক্ষ লাভবান হবে। আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে রাষ্ট্র।থানা পুলিশেরএকাধিক কর্মকর্তা জানান, চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, সার পাচার, হত্যা, আত্মহত্যা, দুর্ঘটনা, মারামারিসহ বিভিন্ন মামলার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের অংশ হিসেবে পুলিশকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংরক্ষণ করতে হয়। আদালতে মামলার অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে এসব আলামত অনেক জরুরি। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচারের জন্য এসব আলামত আদালতে পাঠানো হয়। অথচ এসব আলামত রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। টেকনাফ থানা প্রাঙ্গণে আশপাশে মামলার আলামত হিসেবে রাখা হয়েছে নোহা, কার, অটোরিকসা, মোটরসাইকেল, টেক্সীসহ বেশ কিছু যানবাহন। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এসব যানবাহনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো যন্ত্রাংশই আর নেই। অথচ যে মামলার আলামত হিসেবে যানবাহনগুলো জব্দ বা আটক করা হয়েছিল, ওই সব মামলা এখনো শেষ হয়নি। রেজিস্ট্রেশন নম্বর উঠে যাওয়ায় কোন মামলায় আটক করা হয়েছিল, তা নিশ্চিত করা না গেলেও যানবাহনগুলো যে মামলার আলামত হিসেবে আটক রাখা হয়েছে, তা নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ টেকনাফ থানার যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই মামলার আলামতগুলো উন্মুক্ত আকাশের নিচে পড়ে থাকতে দেখেছেন তাঁরা। থানার সামনে ও আশপাশে আলামত হিসেবে আটক যানবাহন চুরির ঘটনাও ঘটছে।
মালখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমদ বলেন, মালিকবিহীন পড়ে থাকা যানবাহন বিষয়ে আদালতে কাগজ পাঠানো হয়ে তদন্ত ছশষে অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচারের জন্য আদালতে আলামত পাঠানো হয়েছে, আদালতের আদেশএলে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ নিলামে বিক্রি করা হবে
Leave a Reply