এটিএন ফায়সাল….সীমান্ত শহর টেকনাফ ও কক্সবাজার শহর থেকে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী বাস ও কুরিয়ার সার্ভিসযোগে দেশের বিভিন্ন স\’ানে যাচ্ছে যৌন উত্তেজক ইয়াবাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য। আর এখানে আসছে হেরোইন। এসব পাচারকাজে জড়িত রয়েছে পরিবহণ সংশ্ল্লিষ্ট কর্মচারী, চালক ও হেলপার। আইনপ্রয়োগকারী সংস\’াগুলোর সদস্যদের যথেষ্ট নজরদারী না থাকায় অনেকটা নিরাপদেই এসব পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ ও কক্সবাজার ভিত্তিক কয়েকটি চোরাচালানী চক্র দীর্ঘ দিন ধরে হেরোইন, মাদক, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ইয়াবাসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য পাচার করছে। পাশাপাশি চোরাকারবারীদের ধরতে পুলিশ-বিজিবিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস\’াও তৎপর হয়ে উঠে। আইনপ্রয়োগকারী সংস\’ার সদস্যদের তৎপরতা ও ধরপাকড় এর কারণে চোরাচালানীরা কৌশল পাল্টিয়ে ফেলে। চোরাচালানী চক্র পাচার কাজ সহজ ও নিরাপদ করতে পরিবহণ শ্রমিক, চালক ও হেলপারদের সম্পৃক্ত করে। এদের দ্বারাই যানবাহনযোগে হেরোইন, ইয়াবাসহ নিষিদ্ধ পণ্য পাচার কাজ অব্যাহত রাখে। সুত্রে আরো জানা গেছে, গত ৬ মাসে কক্সবাজার শহর, উখিয়া ও টেকনাফে বিজিবি এবং পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন যানবাহনে অভিযান চালিয়ে ১০টি চালানে প্রায় ১৫ কোটি টাকার হোরোইন এবং পৃথক অভিযানে কয়েক লাখ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গাড়িচালক, হেলপার, পাচারকারী মহিলাসহ দু’শতাধিক জনকে আটক করে। এসব ঘটনায় কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফ থানায় পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়।
কৌশল পরিবর্তন করে চোরাচালানী চক্রের সদস্যরা নতুন ভাবে সম্পৃক্ত করে বিলাস বহুল দুরপাল্লার চেয়ারকোচগুলোর অধিকাংশ কাউন্টারে চাকুরিরত এবং কয়েকটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারীকে। এদের অনেকের সাথে হোটেল মোটেল জোনের অধিকাংশ মালিক, ম্যানজোর, কর্মচারীদের যোগাযোগ রয়েছে। একদিকে বাস কাউন্টার, অন্যদিকে হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগের সুবাদে গেস্ট হাউস রুমে বসেই নিরাপদে হেরোইন, ইয়াবার লেনদেন করে যাচ্ছে চক্রটি।
একটি সুত্র জানিয়েছে, টেকনাফের সান্ধ্যকালীন বাস ও কক্সবাজার কলাতলী হোটেল মোটেল জোন এলাকার বিলাসবহুল বাস কাউন্টারগুলো নিরাপদে হেরোইন, ইয়াবা পাচারের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষ করে দুরপাল্লার এসব যানবাহনের মধ্যে রাতে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতেই সব চেয়ে বেশি সংখ্যক ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিষিদ্ধ পণ্য পাচার হচ্ছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস\’ার এক সদস্য জানান, যাত্রীবাহী বিলাসবহুল বাস ও কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িযোগে কঙবাজার ও টেকনাফে হেরোইন পাচার এবং কঙবাজার শহর ও কলাতলী থেকে যৌন উত্তেজক ইয়াবাসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য পাচারের বিষয়টি তাদের গোয়েন্দা রির্পোটেও উঠে এসেছে।
এ ব্যাপারে বিজিবি ৪২ ব্যাটলিয়ান কমান্ডার লে. কর্নেল জাহিদ হাসান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বিলাস বহুল কয়েকটি গাড়ি হতে ইয়াবা ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। এসব পাচারে জড়িত সংশ্লিষ্ট গাড়ির কর্মচারীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ক্ষেত্র বিশেষে গাড়িও জব্দ করে মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তবে কুরিয়ার সার্ভিসের বিয়ষটি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply