হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ…সরকারী নির্দেশনায় আকস্মিকভাবে মুসলিম এইড পরিচালিত ৫৫টি স্কুল বন্দ হয়ে যাওয়ায় স্কুলের ১৬৫০ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শিশুদের শিক্ষা জীবণের শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হওয়ায় অভিভাবকগণ শংকিত হয়ে পড়েছেন। সেই সাথে ৫৫টি স্কুলের ৫৫জন শিক্ষক-শিক্ষিকা বছরের মাঝখানে এসে বেকার হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজনসহ মুষড়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। ৫৫টি স্কুলের মধ্যে উপজাতীয় শিক্ষার্থীদের ১টি স্কুলও রয়েছে। উক্ত স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সকলেই উপজাতী। জানা যায়- মুসলিম এইড রোটা প্রকল্পে ভোকেশনাল কর্মসূচীর আওতায় টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ৫৫টি উপানুষ্ঠানিক স্কুল চালু করে ২০১০ সনে। তম্মধ্যে উখিয়ায় ২৭টি ও টেকনাফে ২৮টি। মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৬৫০ জন। এতে ৭২০ জন ছেলে ও ৯৩০ জন মেয়ে। মুসলিম এইডের ট্রেনিং ইন্সট্রাক্টর মুজিবুর রহমান রানা ও এডমিন দেলোয়ার জানান- স্কুল থেকে ঝরেপড়া, হতদরিদ্র ও স্কুল বিমুখ শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব স্কুলে ভর্তি করা হয়। অক্টোবর ২০১০ সনে ভর্তি কার্য্যক্রম শুরু করে ২০১১ সনে শিশু এবং ১ম শ্রেণীতে বর্তমান ২০১২ সনে শিশু, ১ম ও ২য় শ্রেণীতে শিশুরা অধ্যয়নরত আছে। পানি ও সেনিটেশন ব্যবস্থাসম্পন্ন নিজস্ব সেমিপাকা স্কুল ঘরে শিশুরা আগ্রহের সাথে লেখাপড়া চালিয়ে আসছিল। সরকারী নিয়ম মোতাবেক সকল পরীক্ষাও সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সরকার মুসলিম এইডের সকল কার্য্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করায় অন্যান্য কার্য্যক্রমের পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্য্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামাঞ্চলের অবহেলিত জনপদে স্থাপিত এসব স্কুলগুলো শিশু শিক্ষার্থীদের পদচরণায় মুখরিত থাকত। এখন স্কুল গুলো হঠাৎ করে বন্দ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবকসহ সর্ব মহলের মধ্যে চরম হতাশা নেমে এসেছে।##########
Leave a Reply