আমিনুল ইসলাম,হ্নীলা।…ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সম্মেলনকে ঘিরে দলের মধ্যে পক্ষে বিপক্ষে পৃথক পৃথক গ্র“পিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্র“পিং-দ্বন্দ প্রকট আকার ধারন করছে। একটি পক্ষ সম্মেলনকে স্বার্থক করতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচেছ এবং সম্মেলন বিরোধী অপর একটি পক্ষ তা প্রতিহত করতে শুরু করেছে নানামুখী তৎপরতা। বর্তমান সম্মেলন বাস্তবায়নকারীরা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়নে সম্মেলনের নামে নিজেদের আর্শীবাদ পুষ্টদের কাউন্সিলর নির্বাচিত করে সম্মেলনের নামে পকেট কমিটি গঠনের পায়তারা শুরু করেছে। যা নিয়ে মূল দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত মৌনভাবে ২ গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ বৈঠক করে মনগড়া সম্মেলনে যোগদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশিষ্ট অতিথিদের প্রতি আহবান জানায়।
এদিকে আগামী ১৮ নভেম্বর বিকাল ৩টায় পৌর এলাকার দ্বীপ পাজা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন ও কাউন্সিলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি প্রধান অতিথি, উদ্বোধক জেলা সভাপতি আলী আহমদ এবং প্রধান বক্তা জেলা সম্পাদক আবু তাহের আজাদ ছাড়াও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান এইচএম ইউনুচ বাঙ্গালী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিছবাহার ইউছুফ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে প্রচারনা চালানো হলেও শেষ পর্যন্ত এই সম্মেলনে কারা কারা উপস্থিত থাকছেন তা বলা যাচেছনা। তবে জেলা ছাত্রলীগের ১৫নভেম্বরের বৈঠকে উক্ত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ যোগদান থেকে বিরত থাকার সিদ্বান্ত গৃহীত হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান। তা হলে আসন্ন টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে কি ঘটতে যাচেছ তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আদৌ কি সম্মেলন হবে কি না সংশয় দেখা দিয়েছে। ############
Leave a Reply