ফেসবুকে কোরআন অবমাননার জের ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ বিহার ও বসতবাড়িতে সহিংস ঘটনার পর বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বুধবার মধ্যরাত থেকেই উখিয়া ও টেকনাফ থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় আটক ২০৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এ সহিংস ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ঘটিত তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে।পরিস্থিতি শান্ত হলেও ব্যাপক নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন বড়ুয়া ও রাখাইন পল্লী এবং বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে বুধবার বিকেলে কক্সবাজার শহরে এক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নেতারা, রাজনৈতিক দলের নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।অপরদিকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বুধবার বিকেলে রামুতে আন্তঃধর্মীয় এক সম্প্রীতি সম্মেলনে বলেছেন, বৌদ্ধ বিহার ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় যারা জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা কোনো সভ্য দেশের মানুষ হতে পারে না। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।যারা বৌদ্ধ বিহার ও বসতবাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও হামলা তাদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে সরকার। সেই সঙ্গে উত্তম কুমার বড়ুয়া যে যুবক সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেইসবুকের মাধ্যমে কোরআনকে অবমাননা করেছে তাকেও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।এ ঘটনায় যাতে কোনো নিরপরাধ মানুষ হয়রানি না হয় সেজন্য গণহারে গ্রেফতার না করে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নিদের্শ দেন। মন্ত্রী রামুর হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান।
Leave a Reply