কক্সবাজারের রামুতে সংঘর্ষের ঘটনায় জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে উখিয়া জারি করা ১৪৪ ধারা শিথিল এবং টেকনাফে বহাল রাখা হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ্র বাংলানিউজকে জানান, রামুর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম ১৪৪ ধারা শিথিলের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উখিয়াতে ২৪ ঘণ্টার পরির্বতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ বহাল রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুল ইসলাম জানান, টেকনাফে ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। প্রত্যাহারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জসীম উদ্দিন রামুতে প্রত্যাহার, উখিয়ায় শিথিল এবং টেকনাফে বহাল রাখার সত্যতা বাংলানিউজকে নশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে ট্যাগ করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাত অব্যাহত ছিল রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত। এসময় রামু উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অধ্যুষিত এলাকায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ভাঙচুর চালিয়েছে কিছু লোক।
এতে রামু উপজেলার ৭টি বৌদ্ধ মন্দির, প্রায় ৩০টি বসত ঘর ও দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আরও শতাধিক বাড়ি ও দোকানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর হয়েছে। এর পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় ওই সব এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩টি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ২৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply