হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ…….পৌর এলাকাস্থ হোটেল রাজমহলের মালিক ফরিদ আহমদের উপর ২ দফায় হামলা হয়েছে। এতে তাঁর মোটর সাইকেল, স্বর্ণের চেইন, নগদ ৪ লক্ষাধিক টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ১১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। হামলায় গুরতর আহত ফরিদ আহমদকে(৪০) গতকালই ২১ সেপ্টেম্বর টেকনাফ হাসপাতাল থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এব্যাপারে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে টেকনাফ মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানা পুুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত কেউ আটক হয়নি। একজন ব্যবসায়ীসহ তাঁর আত্মীয় স্বজনের উপর পৃথক দু’টি স্থানে ২ বার হামলার ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়- টেকনাফ বাস ষ্টেশনস্থ হোটেল রাজমহলের মালিক সাবরাং কাটাবনিয়া মৃত হাজী আব্দুল জলিলের পুত্র ফরিদ আহমদ ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজস্ব প্যালসার মোটরসাইকেল নং ল-১১-০১২৩ যোগে আত্মীয় এবং অপর আরও কয়েকজন সঙ্গীসহ(পাইলট হাইস্কুল ও কলেজ ছাত্র) সিএনজি নিয়ে বাড়ী থেকে টেকনাফ ফিরছিলেন। আলীরডেইল রাস্তায় পৌঁছলে অভিযুক্তরা হামলা চালিয়ে নগদ ৪ লক্ষাধিক টাকা, মানিব্যাগ, স্বর্ণের চেইন, আইডি কার্ড, ১০ জনের ১১টি মোবাইলসেট এবং মোটর সাইকেলটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ফরিদ আহমদ সঙ্গীসহ টেকনাফ ফিরে রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় নবী হোসেন(৪৫), জয়নাল(২৪), রশিদ ড্রাইভার(২৮), সৈয়দ আলম(২৭), গফুর আলম(২৫), হেলাল(২৩), আমির হোসেন(৪০), নজির আহমদ(২৮), ইব্রাহীম(২০) কে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করেন। এসআই রাজিব বড়–য়ার নেতৃত্বে পুলিশ দল রাতেই ঘটনাস্থলে অভিযান চালালেও লুন্ঠিত মোটর সাইকেল, নগদ টাকা ও মালামাল উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের আটক করতে পারেনি। এদিকে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ফরিদ আহমদ টেকনাফ থেকে বাড়ী যাওয়ার পথে কুলালপাড়া নামক স্থানে পৌছলে অভিযুক্তরা ২য় বার হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করে। এতে ফরিদ আহমদ গুরুর আহত হয়।###########
Leave a Reply