টেকনাফের হাটবাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো সুপারি অবাধে বিক্রি হচ্ছে। দ্রুত লাল ও হলুদ রং ফুটিয়ে তুলতে ব্যবসায়ীরা সুপারিতে কার্বাইড ছিটাচ্ছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুপারির জন্য এ উপজেলা বিখ্যাত। প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারিরা সুপারি ক্রয় করতে টেকনাফে আসছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আনা আধা পাকা ও ভেজা সুপারি মজুদ করা হচ্ছে। এসব সুপারি খোলা জায়গায় বিছিয়ে রেখে ছিটানো হচ্ছে একধরনের রাসায়নিক পদার্থ (পাউডার)। কিছুক্ষণের মধ্যে রাসায়নিক পদার্থ মেশানো আধা পাকা সুপারি লাল ও ভেজা সুপারি হলুদ রঙের হয়ে যায়।
টেকনাফের সুপারি ব্যবসায়ী মোকতার আহমদ ও নুরু সওদাগর বলেন, আধা পাকা ও ভেজা সুপারিতে এ কার্বাইড (পাউডার) ছিটানোর ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে লাল ও হলুদ রং হয়ে যায়। পাউডার মেশানো ওই সুপারির রং এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়িত্ব থাকে। সুপারির রং সুন্দর হওয়ায় দাম বেশি পাওয়া যায়, তাই এগুলো মেশানো হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আবদুল মান্নান বলেন, রাসায়নিক পদার্থ মেশানো সুপারি খেলে কিডনি ও যকৃতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এ ছাড়া চর্মরোগও হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. সামসুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে শুনেছি, তাই এটি নিয়ে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
Leave a Reply