ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে সরকার। এছাড়া গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া অর্থ ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকরা কোথায়, কীভাবে স্থানান্তর করেছে, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রবিধি ও নীতি অধিশাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে।
ডেসটিনি গ্রুপের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে, ডেসটিনি পরিবারভুক্ত বেস্ট এভিয়েশন ও বৈশাখী মিডিয়াসহ যেসব কোম্পানির তথ্য গোপন করে আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানি আইনের আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি স্থায়ী সম্পদ ছাড়া ১ হাজার ৮৬৪ কোটি
২৮ লাখ টাকা পাচার করেছে। এছাড়া এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সদস্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ ও অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। এতে মানিলন্ডারিং আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, ডেসটিনির পরিচালকরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেছে। তবে সে টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে কোথায় রাখা হয়েছে তা কেউ জানে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংককে সে বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটি ডেসটিনি গ্রুপের ৮ ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। যা হলো : ডেসটিনি পরিবারভুক্ত ২২ জন ব্যক্তি শেয়ারহোল্ডার হিসেবে নিজেদের মধ্যে অধিকাংশ লেনদেন করেছেন, মাল্টিপারপাসের মাধ্যমে চড়া সুদে অবৈধ ব্যাংকিং চালিয়েছে, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করেই গ্রাহকদের কাছ থেকে ডিটিপিএল প্রকল্পে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ ও পরবর্তী সময়ে এসব অর্থের হদিস পাওয়া যায়নি, কোনো কোনো কোম্পানির কার্যক্রম উদ্দেশ্য অনুযায়ী চালুই হয়নি, কতিপয় কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে অসত্য তথ্য প্রদান এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করা হয়েছে, ক্রমাগত লোকসানি প্রতিষ্ঠানে মূলধন বিনিয়োগের মাধ্যমে তহবিল তছরূপ করা হয়েছে, সমবায় সমিতির অর্থ বিধিবহির্ভূতভাবে পরিচালকদের অ্যাকাউন্টে জমা করেছে এবং একচেটিয়া পণ্যের বাজার সৃষ্টি করে চড়া মুনাফায় পণ্যসামগ্রী বিপণন করা হয়েছে।
ডেসটিনি ২০০০, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দাখিল করা প্রতিবেদনে আরও সুপারিশ হচ্ছে, অবৈধভাবে ডেসটিনির মাল্টিপারপাস থেকে কমিশন প্রদান, শেয়ারসহ সঞ্চয় আমানত আদায় এবং অসত্ উদ্দেশ্যে ডেসটিনির অলাভজনক অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয়, বিভিন্ন প্রকল্পে মূলধন বিনিয়োগ ও ঋণ প্রদান এবং অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। অতএব ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে সমবায় সমিতি আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ডেসটিনি যথাযথভাবে সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করেছে কি না তা কোম্পানি ভিত্তিক আয়কর নথিগুলো পরীক্ষান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করেছে। এছাড়া দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা কোম্পানিগুলো বন্ধ করতে কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
shali !shahosh to kom na?
Etato shudhu shikkoker obomanona noi but all education sosaity er obomanona .
Shei moha ranir with panchment oposharon chai .