হুমায়ুন রশিদ ও মুহাম্মদ ছলাহ্ উদ্দিনদ…টেকনাফের হ্নীলা মোচনী গ্রামে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ এবং ১হেলপারকে আটক করে নেওয়ার বিষয়ে ক্ষুদ্ধ জনতার সড়ক অবরোধের ফলে দীর্ঘ ৬ঘন্টাব্যাপী রোগী ও মালবোঝাই গাড়ী,যারী,পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের দূর্ভোগের অন্ত ছিলনা। পরে টেকনাফ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে দীর্ঘ আলোচনার পর আটক হেলপারকে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে বিজিবি একই পরিবারের ৩জনকে আদম পাচার ও
বিজিবির উপর হামলার মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচেছ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিজিবি সুত্র জানায়- ৮সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টারদিকে টেকনাফ ৪২বিজিবির নয়াপাড়া-২বিওপির নায়েক মনির হোসেনের নেতৃত্বে একটি নিয়মিত টহল দল বের হয়ে দেখে বেড়িবাঁধ হতে ১রোহিঙ্গা নারী ও ২ পুরুষ দ্রুত গতিতে মোচনী গ্রামের আবু তাহেরের পুত্র জাফর আলমের বাড়ির দিকে ঢুকে পড়ে। নায়েক মনির তাদের বের করে দিতে বললে দু‘পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধেঁ । পরে কোম্পানী কমান্ডার ফুল মিয়া খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে মোচনী ষ্টেশনে গিয়ে জাফর আলমের পুত্র গাড়ির হেলপার আবুল কালাম (১৩)কে বেধড়ক পিটিয়ে ধরে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে মৃত জবর মুল্লুকের পুত্র জকির আহমদ (৫৫)কে ও ধরে নিয়ে মারধর করে পরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু জীপ গাড়ির হেলপারকে বিনা কারনে প্রহার ও ছেড়ে না দেওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে গ্রামবাসী টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে দেয়। এ সময় উভয়দিকে অর্ধকিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবরোধে আটকে পড়া রোগী ও মালবাহী গাড়ি , যাত্রী, পর্যটক ও সাধারন মানুষের দূর্ভোগের অন্ত ছিলনা। এ খবর পেয়ে টেকনাফ থানার অফির্সাস ইনচার্জ মাহবুব উল হক ও ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার মজুমদার সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা চালায়। গ্রামবাসীর অনড় দাবী নিরীহ গাড়ির হেলপারকে যতক্ষন ছেড়ে দেওয়া না হবে ততক্ষন সড়ক অবরোধ চলার হুমকি দেয়। পরে বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার পর দুপুর দেড়টার দিকে হেলপার আবুল কালামকে ছেড়ে দিলে দীর্ঘ সাড়ে ৬ঘন্টা সড়ক অবরোধের অবসান হয়। গুরুতর আহত হেলপারকে উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ আলী বলেন বিজিবির কতিপয় উশৃংখল জওয়ানের সাথে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের ঔদ্যত্বপূর্ণ আচরনের বহি প্রকাশ সড়ক অবরোধ ।
বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার ফুল মিয়া বলেন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহায়তাকারী ও বিজিবির হামলা চেষ্টার ঘটনায় আবু তাহেরের ৩পুত্র জাফর আলম,জহির আলম ও মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ওসি (তদন্ত ) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, আমরা সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে চলে আসি। তবে এ জাতীয় ঘটনায় জন-জীবনে ভোগান্তি সৃষ্টি করার আসল রহস্য কি! এ ঘটনা তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্থিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে সচেতনমহল মনে করেন । ############
Leave a Reply