জেড করিম জিয়া, টেকনাফ
বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী জন্মবিরতি করণ পদ্ধতি কার্যক্রম সারাদেশে পরিচালিত হলেও টেকনাফে চলছে রোহিঙ্গা ও বয়োজ্যোষ্টদের নিয়ে।
সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জনসংখ্যার রোধ প্রকল্পের আওতায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের যোগসাজসে রোহিঙ্গা ও বয়স্কদের অর্থের প্রলোভন দিয়ে অর্šÍভূক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৩০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কিছু নারী-পুরুষ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে স্থায়ী জন্মবিরতি করণ ও অস্থায়ী পদ্ধতিতে অর্šÍভূক্তি হওয়ার জন্য অপারেশন থিয়েটারের সামনে ভিড় করেছিলেন। এসময় অপারেশন শেষে বেরিয়ে আসা আবুল কাশেম (৭৭) কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মিয়ানমারের নাকফুরা এলাকার বাসিন্দা বলে জানায়। তাদের এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন ধরনের উত্তর দিতে পারেনি। তিনি মাঠকর্মীর হাত ধরে ২ হাজার টাকা ও লুঙ্গির প্রলোভন পেয়ে এপদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকজন বয়োজ্যোষ্ট স্থানীয় বাসিন্দাকে দেখা যায়।
এ সময় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা (টেকনাফ সদর) মনোয়ারা বেগম, পরিদর্শিকা (সাবরাং) আয়েশা বেগম ও পরিদর্শিকা (বাহারছড়া) মিতা বড়ূয়াকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, রোহিঙ্গাদের এ পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য সরকারিভাবে অনুমতি রয়েছে বলে তারা দাবী করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্ধতি গ্রহণকারি একজন অভিযোগ করে বলেন, নগদ ২ হাজার টাকা ও লুঙ্গি পাওয়ার আশায় এ পদ্ধতি গ্রহণ করতে আসলেও মাঠকর্মী কমিশন বাবদ তার কাছ থেকে কিছু অর্থ কেটে নেয়। টেকনাফ পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার টেকনাফে স্থায়ী পদ্ধতিতে ১৫জন পুরুষকে এনএসভি, ২জন মহিলাকে টিউভেকটমী ও ২মহিলাকে ইমপ্লান্ট অস্থায়ী পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। তাদের সরকারিভাবে একটি লুঙ্গি/ শাড়ি ও নগদ দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ পরিবার পরিকল্পনা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ পদ্ধতিতে রোহিঙ্গা নাগরিক ও বয়োজ্যোষ্টদের করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে শুনেছি। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
Pic golo clear karle aro nice hoto