*মমতাজুল ইসলাম মনু -আসছে পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফ ও মিয়ানমার সীমান্তে তৎপর হয়ে উঠেছে চামড়া পাচারকারী চোরাচালান সিন্ডিকেট। উভয় দেশের চিহ্নিত সংঘবদ্ধ একটি চক্র ইতোমধ্যে তাদের তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। মিয়ানমারের যেসব পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে চামড়া পাচারের আশংকা করা হয় ওইসব পয়েন্টে মিয়ানমারের একশ্রেণীর ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনে মজুদ করে। এমনকি বাংলাদেশের সীমান্তের পাচারকারী ফড়িয়াদের কাছে আগাম অর্থ চালাচালি করে। কোরবানির মৌসুমে এসব ফড়িয়ারা সুবিধাজনক সময় ওইসব পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে চামড়া পাচার করে থাকে। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে-এবারে টেকনাফের চামড়া ব্যবসায়ীরা পুঁজি সংকটে পড়বেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের কাছে গতবারে বকেয়া টাকা পড়ে থাকায় এ আশংকার কথা জানিয়েছেন টেকনাফের এক ব্যবসায়ী। বলাই বাহুল্য আড়তদার ও ট্যানারির মালিকদের কাছে পুঁজি আটকে থাকায় প্রতিবছর চামড়া ব্যবসার এ খাত থেকে অনেক ব্যবসায়ী নিরুৎসাহিত হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যবসায়ে প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী থেকে বর্তমানে যে ক’জন হাতে গোনা চামড়া ব্যবসায়ী আছেন তারাও খুব একটা সুবিধা জনক অবস্থায় নেই বলে জানান ওই ব্যবসায়ী। এ বছর সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকা ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিলেও ঋণ দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে অসন্তোষ থাকায় ঋণ নিয়ে চামড়া কেনার ঝুঁকি নিতে নারাজ অনেক ব্যবসায়ী। চামড়া ব্যবসায়ীদের এহেন দুরাবস্থায় এবারে পার্শবর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে চামড়া পাচারের আশংকা করছেন স্থানীয় সচেতন লোকেরা। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে উভয় দেশের সীমান্তে একটি চক্র হুন্ডির মাধ্যমে জোরে শোরে তৎপরতা শুরু করতে পারে বলেও আশংকা করা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে চামড়া পাচার হতে পারে এমন কিছু স্পর্শকাতর পয়েন্ট হচ্ছে-টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমোরা পাড়া,চৌধুরী পাড়া,জাদিমুরা ও ওয়াব্রাং। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাছর পাড়া,কান্্জর পাড়া,ঝিমংখালী,লম্বাবিল ও উলুবনিয়া। টেকনাফের নাইট্যং পাড়া,নাজির পাড়া ও মৌলভী পাড়া। সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রি পাড়া উল্লেখযোগ্য। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে পুঁজি করে টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কোরবানীর পশুর চামড়া পাচারের আশংকার বিষয়ে জানতে চাইলে ৪২ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদ হাসান বলেন,স্থলবন্দর ও বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে যাতে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে পশুর চামড়া পাচার হতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবির টহল জোরদার বাড়ানো হয়েছে। এব্যাপারে টেকনাফ স্থল বন্দরের কাষ্টম সুপার কাজী আবুল হোসেন বলেন,কোরবানীর চামড়া স্থল বন্দর দিয়ে আমদানী হলে সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হবে। ==
Leave a Reply