এটিএন ফায়সাল : মালয়েশিয়া কর্মসংস্থানের জন্য দালালের হাতধরে গভীর রাতে যাত্রা করে সাগরের মাঝে কার্গো দূঘর্টনায় নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক হতভাগা মানুষ। শীতকাল ঘনিয়ে আসায় কোরবানীর ঈদের পর পরই টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তে মালয়েশিয়া আদম পাচারকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা যুবকদেরও কৌশলে আনা হচেছ বলে একাধিক সুত্র দাবী করছে। এ রকম একটি চালানের মধ্যে ২৭জন ফিরে আসলেও ১৩৩জনের হদিস পাওয়া যাচেছনা। কোস্টগার্ড এর সত্যতা স্বীকার না করলেও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি এ দূঘর্টনার কথা স্বীকার করেন।
সুত্র জানায়-৩০ অক্টোবর ভোররাত ২টারদিকে সীমান্ত জনপদ টেকনাফের সাবরাং উপকূলের কাঁটাবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার মালয়েশিয়া আদম পাচারকারী দালাল চক্র শাহপরীর দ্বীপ এলাকার-সোলতান আহমদের পুত্র ধলু হোছন, পুয়া মাঝির ভাই হাফেজ উল¬াহ, সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার ডাকাইত্যা নজির, দরগাহ ছড়ার ওমর হাকিম মেম্বার ও তার সহযোগী মিঠা পানির ছড়ার মোহাম্মদ আলী মুন্না,ছৈয়দ আহমদ,নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প শিউলের ঘিরা এলাকার কালা হাজি সিন্ডিকেটের ১৬০ জন যাত্রী নিয়ে সীমান্তরক্ষী ও কোস্টগার্ড সদস্যদের ফাঁকি দিয়ে একটি কার্গোবোট মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। রাত ২টারদিকে সেন্টমার্টিনের ৩৫/৪০কিঃমিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে তলা ফেটে বোটটি দূঘর্টনার কবলে পড়ে। এতে কয়েক দফায় ২৭জন যাত্রী ফেরত আসতে পারলেও অন্য ১৩৩জনের হদিস পাওয়া যাচেছনা। নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজন াং হারিয়াখালী এলাকার রহিম উল¬াহ(২৩)-আব্দুল বারী, নজির আহমদ-(২০)-আব্দুল হাকিম,আমান উল¬াহ-(২২)মোঃ হাশিম, রহিম উল¬াহ-(২৩)-মোঃ শরীফ, এবাদুল¬াহ (২৫)-কালাম আহমদ, আবু-(২৫)মুহাম্মদ ইউনুছ, আব্দুস সালাম(২৫)মৃত নজির আহমদ, মোঃ আলম-আবুল হাছিম প্রমুখ ছাড়াও রঙ্গিখালী এলাকার ১০জন নিখোঁজ থাকলেও আলীখালী এলাকার আবুল কালামের পুত্র আলী মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। হ্নীলা রঙ্গিখালীর ঠান্ডু মিয়া, কবির ও মধ্যম আলীখালীর নাজু মাঝি তাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পাঠায়।এছাড়া বাহারছড়া উপকূলীয় এলাকায় মাথাভাঙ্গা গ্রামের মোজাহার মিয়ার পুত্র নুরুল হুদা,নুরুল আমিন, মৃত মৌলানা আব্দুল আজিজের পুত্র হাবিব উল¬াহ,গুরা মিয়ার পুত্র নুরুল হুদারাও মালয়েশিয়ায় আদম পাচারে জড়িত বলে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এছাড়া বাহারছড়া সাগর উপকূলে আরো ৩/৪টি মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ভাসতে দেখেছে বলে
*** উখিয়া উপজেলার বালুখালী, পালংখালী, ঘুমধুম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪২ মিয়ানমারের নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।
জানা গেছে, মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের রাজধানী সিটওয়েসহ আশপাশের এলাকায় নতুন করে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ায় বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি ওপারে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে গত কয়েক দিন থেকে ঘুমধুম বালুখালী পয়েন্ট দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে স্বদেশে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি সদস্যরা।
অপরদিকে টেকনাফের নাফ নদী থেকে সেন্টমার্র্টিন সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত বিজিবির পাশাপাশি কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবি-৪২ টেকনাফস্থ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ হাসান জানান, সাগরপথে কোনোভাবেই যাতে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বিজিবি এবং কোস্টগার্ড। এ ব্যাপারে টেকনাফে বিজিবির জনবলও বাড়ানো হয়েছে।
Leave a Reply