জিয়াবুল হক,টেকনাফ বাংলাদেশের সর্ব দেিনর উপজেলা টেকনাফ উপশহর সাগর পথে মালয়েশিয়া মানব পাচারের দালাল ও মামলার আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরলেও সহজে ধরা পড়ছে না । এদের অনেকের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মানব পাচারের অভিযোগে মামলা হলেও এসব দালালরা আবার নতুন করে মানব পাচার করতে ব্যাপক সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জানা যায়- পুলিশ , বিজিবি, কোস্টগার্ড একদিন না একদিন নৌকা সহ আদম ধরা পড়লেও এদের আসল হোতা ও গডফাদার ব্যক্তিরা ও সরকার দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় আইনের হাত থেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে। কোন সংশ্লিস্ট প্রশাসন আদম হাতেনাতে ধরলেও এ আদমের মূল গডফাদারকে পলাতক আসামী দেখিয়ে মামলা রুজু হয়।এসব পলাতক আসামীরা যে দিন মামলা হয় সেদিন নিজেই থানায় এসে বা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সে পলাতক আসামী থেকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আদম পাচারের গডফাদারেরা মামলা থেকে ছাড় পেয়ে গেলে টেকনাফ উপজেলা ঘরে ঘরে আদম পাচার করার সুযোগ পাবে। আদম পাচারের মত জঘন্য ঘৃণিত কাজকে সহজ করে দিচ্ছে কিছু অসাধু সংশ্লিস্ট প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ বাজার পাড়ার ছালের ছেলে মোঃ ইসমাইল(২৮),তার বড় ভাই ভুলাইয়া (৩৪),ডাংগর পাড়ার ফিরোজ(৩৬), ছোট ভাই আবু তাহের , সাবরাং এর নজির আহাম্মদ,কচুবনিয়া গ্রামের আবদু খালেকের ছেলে আবদুল হামিদ (৩২),মোজাহারের ছেলে গুরা মিয়া (২৭),সোলতানের ছেলে মৌলভী বশির (৪৬),জাফরের ছেলে ইউনুচ (৩২),কাটাবনিয়া গ্রামের আবদু মাজেদের ছেলে সওকত আলম (২৫) ও মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে আবু তাহের (৩৭) শাহপরীরদ্বীপ, দণিপাড়ার মৃত বশির উলাহর ছেলে রহমত উলাহ (২৫), এজাহার মিয়ার পুত্র কালা মিয়া, মিস্ত্রিপাড়ার বশির আহমদের পুত্র এনায়েত উলাহ (৩৫), নজির আহমদ প্রঃ উলার পুত্র নুরুল আলম মাঝি (৫০), মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র আবদু শুক্কুর (৩০), জহুর আহমদের পুত্র জাফর প্রকাশ কানা জাফর (৫০), মৃত মোহাম্মদের পুত্র শরিফ হোসেন প্রকাশ ভুলু, কচুবনিয়া পাড়ার ছিদ্দিক আহমদের পুত্র ইমাম হোসেন, ইউছুফ আলীর পুত্র ছিদ্দিক আহম্মদ, কাশিম প্রকাশ ঝিমা কাসিম, সহ অনেকে এখনো পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে বিশাল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করে বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সাগড় পথে মানব পাচার করে যাচ্ছে । মাঝে মধ্যে প্রশাসনের কাছে যে সব যাত্রীরা ধরা পড়ছে,প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদেরকে সহজে ছেড়ে দেওয়াতে তারা আবারো মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া মানবপাচারের দালাল ও পলাতক আসামীরা সহজে ধরা না পড়ায় তাদের পাচার কাজও বন্ধ করছেনা । এদিকে টেকনাফ উপজেলার সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন- সংশ্লিস্ট প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মদদপৃষ্ঠের কারণে সহজে আদম পাচারের গডফাদারেরা আইনের হাত থেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে ও আমাদের সন্তানের সহজে মালয়েশিয়া যাওয়ার লোভ দেখিয়ে সাগরের মাঝ পথে গিয়ে হত্যা করছে। আদমপাচারের মতন জঘণ্য পেশাকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।