টেকনাফ নিউজ ডেস্ক…টেকনাফ পৌরসভাসহ গ্রামাঞ্ছলে দীর্ঘ ১যুগ ধরে বেওয়ারিশ কুকুরের যত্রতত্র অবাধ বিচরণে শংকিত হয়েছেন জনতা-ছাত্রছাত্রী ও সচেতন মহল। সীমান্ত পর্যটন শহর খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কুকুর নিধন অভিযান পরিচালিত হয়নি। ফলে পৌরসভাসহ সংলগ্ন এলাকায় জ্যামিতিক হারে বেওয়ারিশ কুকুরের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে। এ সব অভিভাবকহীন কুকুর প্রতিদিন বাজারের অলিগলিতে বেপরোয়া ঘোরাফেরা করে। এদের মধ্যে অনেক কুকুর জলাতংক রোগের জীবানু বহনকারী। ক্ষ্যাপাটে এসব পাগলা কুকুর যে কোন মুহুর্তে যে কাউকে কামড়ে দিতে পারে। বাজার সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও যাতায়তকারী ছাত্রছাত্রীসহ প্রাত্যহিক কাজে বাজারে আগত জনগণ প্রতিদিন কুকুর আতংকে ভোগছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া চলতি ভাদ্রমাস কুকুরের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় এ সময়ে স্বভাবতই সব কুকুর ক্ষ্যাপাটে ধরনের হয়ে থাকে। আর এসব পাগলা কুকুর কামড়ালে যে কেউ মারাত্মক জলাতংক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারে। তড়িৎ চিকিৎসা ও ভেকসিন গ্রহণ না করলে যে কারো মৃত্যু হতে পারে। এ ব্যাপারে আলাপ চারিতায় চিকিৎসক ডাঃ ছৈয়দ আবদুর রহমান জানান যে, বর্তমানে জলাতংক অর্থাৎ হাইড্রোফোবিয়া রোগের ভেকসিন যদিও সহজপ্রাপ্য এরপরও তা সময় মত গ্রহণ না করলে পরবর্তীতে রোগীর মৃত্যু হওয়া বিচিত্র নয়। সুতরাং পাগলা কুকুর নিধনে অনতি বিলম্বে অভিযান চালানোর দাবী জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।
টেকনাফ পৌরষবার প্যানেল মেয়র ও সাংবাদিক আবদুল্লাহ মনির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে- পর্যন মৌসুম হিসেবে পৌরসভার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রুপ কমাতে শিঘ্রই নিধন কার্যক্রম শুরু হবে। এবং এব্যাপারে পৌর কতৃপক্ষদের নিয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।##