হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রিত সাগর কলার সয়লাব পড়েছে। এসব কলা সাধারণ মানুষ পুষ্টিকর ফল বলে গন্য করে বিষ খাচ্ছে। টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন আড়তে এ বিষ মেশানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষ মেশানো কলা খেয়ে অনেকে জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবী করছেন সচেতন মহল। টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অলিয়াবাদ সী-বীচ রোডে রাস্তার দু-পাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি কলার আড়ৎ। সরেজমিনে পরির্দশনে গিয়ে দেখা যায়, কলাতে বিষ মিশানোর দৃশ্য। অসাধু এক শ্রেণীর কলা ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দ্রুত পাকাতে কলাতে বিষ মিশিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে । ব্যবসায়ীরা আড়তের সামনে শতাধিক কলা রাখলেও পর্দার আড়ালে থাকে বাকী সমস্ত কলা ও বিষাক্ত ক্যামিকেলযুক্ত পানি মেশানো ড্রাম। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আনা এসব কাঁচাকলা স্বল্প সময়ে পাকিয়ে বিক্রি করতে বিষাক্ত এ পানি মিশিয়ে কলা পাকানো হয় । ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত এ পানি মিশিয়ে পাকানো কলা টেকনাফ পৌরএলাকাসহ উপজেলার সর্বত্র বিক্রি করছে। বিষাক্ত এ পানিতে কলা ভিজিয়ে নিলে অল্প সময়ে লাল হয়ে যায় কলার রং। এতে কম সময়ের মধ্যে সাধারণ ক্রেতাদের এ কলা বিক্রি করা যায়। প্রতিদিন কলা ব্যবসায়ীরা এভাবে হাজার হাজার কলাতে বিষাক্ত পানি মিশিয়ে কলা বিক্রি করে যাচ্ছে। আর এসব কলা খাচ্ছে মানুষ। এসব বিষাক্ত পানি প্রকাশ্যে প্রতিদিন দিনের বেলায় মেশানো হলেও প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্টদের কোন খবরদারি নেই। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন বিষাক্ত পানি মিশানো কলা পেটে গেলে ক্যন্সারসহ লিভার ,কিডনী ও পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য এসব কলা মারাত্বক ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ। সংশি¬ষ্ট সূত্র জানায়- বিএসটিআই হচ্ছে খাদ্যের মান পরীক্ষা করার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান । অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫ অনুযায়ী বিএসটিআই বাজারে সব পন্য দেখাশুনা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু সীমান্ত শহর টেকনাফের কলার আড়ৎ গুলোতে কোন ধরণের তদারকি না থাকার ফলে ইচ্ছামতো বিক্রি হয় নানান পন্য। তাই কাচাঁ কলাকে পাকা করতে বিশেষ কারবাইড ব্যবহার করতেও কোন ভয়ভীতি নেই অসাধু এসব ব্যবসায়ীদের। #########
mr. apni etodin kotay chilen?