হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম… টেকনাফে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবারে এখনও চুলোয় আগুন জ্বলছেনা। বন্যার পানি যতই কমছে, ক্ষতির মাত্রা এবং ভয়াবহতার চিত্রই ততই বেশী ফুটে উঠছে। সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ সরকারী ভাবেই শত কোটি টাকা অতিক্রম করলেও এপর্যন্ত বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৫৫ মে: টন জিআর চাউল। যা ক্ষয়-ক্ষতির তুলনায় শুধু অতি নগন্যই নয়, প্রাপ্তির হার বের করাও কঠিন। সাম্প্রতিক বন্যায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর ত্রাণ শাখা থেকে প্রেরীত ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব বিবরণীতে দেখা যায়- টেকনাফ উপজেলায় ১টি পৌরসভা এবং ৬টি ইউনিয়নেই কমবেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ১৫ কিলোমিটার, বেশী ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ২ হাজর ৫০০ জন, আংশিক ২৬ হাজার ১০০ জন, বেশী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সংখ্যা ৬০০টি, আংশিক ৬ হাজার ৫৭০টি, সম্পূর্ণরুপে বিধস্থ বাড়ীর সংখ্যা ১০০টি, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সংখ্যা ৫ হাজারটি, গবাদি পশুর ক্ষতি ৮টি, মূল্য ১লাখ ৬০ হাজার টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস-মুরগির সংখ্যা ৬হাজার২০০টি, মূল্য ১৮লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৮০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, যার মূল্য ৮০ লাখ টাকা। ৫০০ হেক্টর জমির ফসলাদির আংশিক ক্ষতি হয়েছে, যার মূল্য ২লাখ ৫০ হাজার টাকা। দেড় হাজার একর জমির চিংড়ি ক্ষতি হয়েছে, যার পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা। তাছাড়া ১০টি স্কুল-মাদ্রাসা ও ৫০টি মসজিদ-মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক সমূহের মধ্যে রয়েছে ২ কিলোমিটার পাকা ও ১০ কিলোমিটার কাঁচা, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার পাকা এবং ১০০ কিলোমিটার কাঁচা। ভীষনভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাঁধ ০.১০কিলোমিটার এবং সামান্য ১০ কিলোমিটার, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ৫কিলোমিটার। তাছাড়া ১০টি গভীর নলকূপ ও ২০টি অগভীর নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারীভাবে তৈরীকৃত ক্ষয়-ক্ষতির এই তালিকা মতে টাকার অংকে শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই কোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতির বিপরীতে সরকার টেকনাফ উপজেলার জন্য বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ৫৫ মে:টন চাউল। তম্মধ্যে হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ১০টন, হ্নীলায় ৭ টন, সদরে ৭টন, সাবরাং ১২ টন, বাহারছড়া ৪টন ও টেকনাফ পৌরসভায় ১৫টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ক্ষতির তুলনায় রসিকতা-ই বলা চলে। টেকনাফের দেশী-বিদেশী অনেক এনজিও কর্মরত রয়েছে। কিন্তু টেকনাফ বাসির এই আপদ কালীন সময়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।#########
সেন্টমার্টিনদ্বীপে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর রহস্যজনক ফলাফল বিপর্যয়
নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ ঃ
নম্বর বেশী পেলেও রহস্যজনক কারণে এক মেধাবী ছাত্রকে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘটেছে এঘটনা। শিক্ষার্থীর পিতা ওমর আজিজ ১৫ জুলাই এব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়- সেন্টমার্টিদ্বীপ পশ্চিমপাড়া মৃত কালু মিয়ার পুত্র ওমর আজিজের ছেলে মো: আয়াজ উদ্দিন ২০১১সনে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী(পিএসসি) পরিক্ষায় জিনজিরা সরকারী প্রাইমারী স্কুল থেকে অংশগ্রহণ করেছিল। তার রোল নং ১৬৮১। পরীক্ষায় তার ফলাফল হচ্ছে ৩.৯২। যার মান এ-। অপর দিকে একই স্কুলের পরিক্ষার্থী আব্দুর রহিমের পুত্র এরশাদুল ইসলামের রোল নং-১৬৮৭। তার ফলাফল হচ্ছে ৩.৮৩। যার মান সাধারণ। কিন্তু মার্ক বেশী থাকা সত্বেও আয়াজ উদ্দীনকে বৃত্তি না দিয়ে রহস্যজনক কারণে তুলনামূলক কম মার্ক পাওয়া এরশাদুল ইসলামকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারী ওমর আজিজ জানান- তার ছেলে মো: আয়াজ উদ্দীন ২য় থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বরাবরই ফাস্ট বয় হিসাবেই ছিল। মার্কও তার ছেলের বেশী। কিন্তু কোন রহস্যের গ্যাড়াকলে পড়ে এবং কার ভূলের মাসুল দিতে গিয়ে আয়াজ উদ্দিনকে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হল তা অজ্ঞাত। ওমর আজিজ আরও জানান- বিষয়টি তার গোচরে আসার পর তিনি কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছেন। তিনি ঢাকায় কম্পিউটারের ভূল বলে স্বীকার করে ট্কেনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সুপারিশসহ আবেদন দাখিল করতে পরামর্শ দেন। জেলা শিক্ষা অফিসারের পরামর্শ মতে ওমর আজিজ ১৫ জুলাই বিকালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্ নিয়ে জিনজিরা সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সভাপতি আমির হোসেন মেম্বার, সেন্টমার্টিনদ্বীপ আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর আহমদ, সাংবাদিক আশেকউল্লাহ ফারুকীসহ শিক্ষা অফিসে গেলে লিখিত অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেননি। বর্তমানে ওমর আজিজের মেধাবী ছেলে দ্বীপের বিএন হাইস্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়ন করলেও ফলাফল কেলেংকারীর এঘটনায় লেখাপড়ার মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে। তিনি এব্যাপারে উর্ধতন কত্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ দাবী করেছেন।######
Leave a Reply