হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফঃ সাগরে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় কবলে পড়ে গতকাল ২৮ জুলাই টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুর ফিশিং ট্টলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। বিকালে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১জন জেলের লাশ পাওয়া গেছে। শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই মাসরু সাগর সৈকতে ১জন জেলের লাশ প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় ইউপি মেম্বার হোছেন আহমদ ২৮ জুলাই বিকালে জানান- সকালে শামলাপুর উত্তর ঘাট দিয়ে ৫টি ফিশিং ট্টলার সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিল। এই ৫টি ফিশিং ট্টলারে ২৫ থেকে ৩০ জন মাঝিমাল্লা ছিল। এরা প্রায় সকলেই মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় টেকনাফ থেকে শামলাপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সৈকতের ঝাউবাগানে ঝুপড়িঘর তৈরী করে এসব রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করে আসছে। এদের প্রধান কাজ সাগরে মাছ শিকার করা। স্থানীয় লোকজন জানায়- ফিশিং ট্টলারের মালিকগন লোভে পড়ে মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় সাগর প্রচন্ড ভাবে উত্তাল থাকা সত্বেও এসব রোহিঙ্গাদের দিয়ে সাগরে মাছ শিকারে পাঠিয়েছিল। হোছন আহমদ মেম্বার আরও জানান- দুপুরে শামলাপুর উত্তর ঘাটের চরে ১জন জেলের লাশ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে আটকে থাকার খবর পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- সকালে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া ৫টি ফিশিং ট্টলারের মধ্যে স্থানীয় শাহজাহানের মালিকানাধীন ফিশিং ট্টলারে ছিল লাশ হয়ে ভেসে আসা মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা মোঃ রফিক (৪০)। তৎক্ষণিক পিতার নাম জানা যায়নি। সে ২নং ওয়ার্ডের সৈকতের ঝাউবাগানে সপরিবারে বসবাস করত। এসআই মাসরুর জানান- নিহত মোঃ রফিকের ওয়ারিশদের সাথে ফিশিং ট্টলার মালিকের আপোষ রফায় সমঝোতার চেষ্টা চলছে।এদিকে কোন্ ঘাট দিয়ে ঠিক কতটি ফিশিং ট্টলার সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিল, এবং কতটি ফিরে এসেছে তার সুনিদ্দিষ্ট তথ্য উক্ত ইউপি মেম্বার দিতে পারেনি।অপরদিকে গতকাল ২৮ জুলাই বিকালে হ্নীলা চৌধুরীপাড়া নাফ-নদী থেকে পুলিশ অজ্ঞাতনামা আরও ১টি লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। ##
Leave a Reply