নিজস্বপ্রতিবেদক :::::টেকনাফে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর বসত-ঘরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৫৭ হাজার ৬শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে । যার মূল্য এক কোটি আটষট্টি লাখ টাকা।
এসময় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার ইসলাবাদ ও বর্তমান পুরান পল্লান পাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ শরীফের ছেলে মোহাম্মদ নাছির (৩৬) ও পুরাতন পল্লান পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল আলম (৩৯)।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা মুকুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা মুকুল জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফয়েজ আহমদ নামে টেকনাফে এক শীর্ষ ইয়াবা কারবারীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালায় আমরা। সংবাদ আসে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার বড় চালান এনে তার বসত-ঘরে মজুদ রেখেছে। এই সংবাদে শুক্রবার ভোরে টেকনাফ পৌরসভা ইসলামাবাদের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ইয়াবাসহ নাসির ও নুরুল আলমকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটককৃতরা স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইয়াবা ব্যবসায়ী পুরান পল্লান পাড়ার জহির আহমদের ছেলে ফয়েজ আহমদের বসত-ঘরে ফের অভিযান চালানো হয়।
এসময় ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আরো ৫৫ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবাসহ একটি নম্বর বিহীন বাজাজ মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় বার্মাইয়া জহিরের ছেলে ফয়েজ স্ত্রীসহ পালিয়ে যায়। আটক দুজনই তার সহযোগী।
এ ব্যাপারে মাদক আইনে মামলার এজাহারে টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জহির আহমদ ওরফে বার্মাইয়া জহিরের ছেলে ফয়েজ ও তার স্ত্রী তসলিমা আক্তারকে পলাতক আসামি করে ইয়াবাসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানার সোর্পদ করা হয়েছে জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসা করে ফয়েজ এখন কোটিপতি। বর্তমানে ৫ তলা নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কোটিপতি ফয়েজের পিতা জহির আহমদ ওরফে বার্মাইয়া জহির ওরফে সে মিয়ানমার থেকে চিংড়ি মাছের আড়ালে ইয়াবা এনে দেশের বিভিন্ন জেলায় চিংড়ি বোঝাই ট্রাক করে ইয়াবা পাচার করে আসছে। তার দুই ছেলে ফয়েজ ও নজির আহমদের বিরুদ্ধে ডজন খানিক মাদকের মামলা রয়েছে। এরা এক মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পায়। গত ১৫দিন আগে রেজুখাল ব্রীজে ফয়েজের মালিকানাধীন নোহা মাইক্রো থেকে তল্লাশী চালিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে গ্রেপ্তার হয়। ওই এলাকায় ফয়েজের নেতৃত্বে একটি মাদকের বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হলেন,মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শফিক,জাহাঙ্গীর। দুই কোটি টাকা মূল্যের মুরগী ফার্ম ব্যবসার আড়ালে অবৈধ মাদক কারবার রয়েছে তাদের।
Leave a Reply