হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফে এক রোহিঙ্গা কর্তৃক এলাকার স্থায়ী সাধারন মানুষদের হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও বখাটেদের সাথে টাকার বিনিময়ে হাত করে আবদুর রশিদ প্রকাশ রাজা মিয়া সমাজে বিভিন্ন অপকর্মসহ স্থানীয়দের মামলায় ফাঁসিয়ে বীর দাপটে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। জানা যায়- মিয়ানমারের মংডুর বুড়া সিকদার পাড়া এলাকার মৃত আবদুর পুত্র আবদুর রশিদ ওরফে রাজা মিয়া ৯০ সনের দিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে টেকনাফের হ্নীলার জাদীমুরা এলাকায় বসবাস করে। আত্মীয়-স্বজন ও ভাই বিভিন্ন দেশে অবস্থান করায় টাকার কোন কমতি নেই। সেই টাকার লোভ দেখিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ও কিছু বখাটেদের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। তাদের চত্রছায়ায় সে এলাকায় এক ধরনের ত্রাস সৃষ্টি ও জিম্মি করে সাধারন মানুষদের মামলা ও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে হয়রানী করে যাচ্ছে। আর এ কাজে ব্যবহার করছে তার বিবাহিত মেয়ে গুলবাহারকে। গত ৫ জুলাই দিন-দুপুরে রাজা মিয়ার কন্যা গুল বাহারের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে নির্যাতন ও মারধর করা হয়েছে মর্মে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ মফজুলুর রহমান, সৈয়দ আলম, নুর জাহান, মুর্শিদা বেগম, রুনা আক্তারকে অভিযুক্ত করে গুল বাহার বাদী হয়ে কক্সবাজার বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করে। এছাড়া দিনের বেলায় জোর পূর্বক ঘরের মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। যা এলাকার কেউ জানেনা। এভাবে তিনি বার বার সাধারন মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্তরা স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ আলী জানান- এ ধরনের ঘটনা আমাকে কেউ অবহিত করেনি এবং শুনিনি তবে, যে মামলাটি করেছে সে একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা। প্রসংগত- আবদুর রশিদ ওরফে রাজা মিয়া তার বিবাহিত কন্যা গুল বাহারকে ব্যবহার করে মোটা অংকের বিনিময়ে স্থানীয় মোর্শেদার বসত-ভিটা দখলেরও পায়তারা করেছিল। এ নিয়ে বসত ভিটার মালিক মোর্শেদা বেগম হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর রাজা মিয়া ও গুল বাহার বেগমকে বিবাদী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যা কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
Leave a Reply